চলতি বছরের গত ১৫ আগস্ট রাজধানী ঢাকায় উড়াল সেতুর গার্ডার ছিটকে প্রাইভেটকারে পড়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ভাগ্যক্রমে সেদিন বেঁচে যান নবদম্পতি হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)। এ ঘটনার পর থেকেই এর রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যায় তদন্ত কমিটি। আর অবশেষে এই দুর্ঘটনার মোট ১২টি কারণ চিহ্নিত করেছে তদন্ত কমিটি।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী এ তথ্য জানান।
কারণ হিসেবে তারা কাউকে না জানিয়ে সরকারি ছুটির দিনে কাজ করেছেন। প্রথমবার গার্ডার বসানোর কাজ দিনের বেলায় করা হয়েছিল, অন্যদিন তারা রাতে কাজ করেছে। ক্রেনটি একজন সহকারী দ্বারা চালিত হয়, চালক থাকলে এমনটি হতো না। ক্রেনটির লাইসেন্স ছিল না। যে গ্রাউন্ডে ক্রেন চালানো হচ্ছিল সেটি ছিল অসমতল। ক্রেনে ডিজিটাল মনিটর ছিল না। পূর্বে কোন কাজের পূর্বানুমতি ছিল না। ট্রাফিক ব্যবস্থা ছিল না, মূলত ট্রাফিক জানাতে হতো।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যোগ্য লোক ছিল না, তারা নিজেরাই এসব লোক রেখেছিল। নিরাপত্তা প্রকৌশলী সঠিকভাবে যোগ্য ছিল না. জরুরি ব্যবস্থাপনার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। এ কারণে গার্ডারগুলো সরাতে সময় লেগেছে। যারা ঠিকাদার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তাদের কোনো অনুমোদন ছিল না।
উল্লেখ্য, ঢাকা রাজধানীর দক্ষিণখানে বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছনে তারা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত এ যাত্রায় আর বাসায় ফেরা হয়নি তাদের। এর আগেই মাঝ পথে গার্ডার দুর্ঘটনায় সড়তেই প্রাণ দিতে হয় তাদের। এ সময়ে গাড়ির অপর পাশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায় এই নবদম্পতি।