বগুড়ার শেরপুরে ঘটেছে দুঃখজনক একটি ঘটনা যেখানে দেখা গেছে স্কুলের এক ছাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে পি. টুনির শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্কুলের পরিচালক মোনারুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ছাত্রী ও তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে।এই ঘটনা নিয়ে এখন সেখানে নানা আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
মোনারুল ইসলাম উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রতিভা কেজি অ্যান্ড হাই স্কুলের পরিচালক ছিলেন। মারধরের আট দিন পর শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করা এক মেয়ের সঙ্গে মোনারুলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ছাত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতেন। সম্প্রতি মেয়েটিকে অন্যত্র বিয়ে দেয় পরিবার। এরপরও ওই ছাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মোনারুলের।
বিষয়টি জানার পর মেয়েটির বাবা গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে মোনারুলকে বাড়িতে ডেকে নেন। এরপর তিনি মোনারুলকে মোবাইল ফোনের কিছু ছবি মুছে দিতে বলেন। তাদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। একপর্যায়ে মোনারুলকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে গত রোববার তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গতকাল মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে স্কুল পরিচালকের প্রাণ যাওয়ার ঘটনা নিয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ছাত্রী ও তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।