গত বছর কয়েক আগেই বাসায় হুজুর ডেকে দুঃসম্পর্কের দুই সন্তানের এক চাচীকে বিয়ে করেন শোয়াইবুল হক। তিনি কক্সবাজারের ইসলামাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িতরত রয়েছেন। চাচীকে বিয়ের পর একাধিক ভাড়া বাসায় জীবনযাপন করছিলেন শোয়াইবুল হক। এরইমধ্যে দুই-দুইবার চাচীকে জোরপূর্বোক গর্ভপাত করান তিনি। শুধু তাই নয়, তৃ্তীয়বারের মতো সন্তান সম্ভাবনা হয়ে পড়লে আবারও বাচ্চা নষ্ট করতে বলেন তিনি। কিন্তু এ কথা মানতে অস্বীকার জানালে চাচীর ওপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন।
এমনটাই অভিযোগ করেছেন ঐ নারী।
এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট ঈদগাঁও থানায় ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন নি’র্যা’তি’তা নারী। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শোয়াইবুল হক উপজেলার দক্ষিণ সাতজোলাকাটা গ্রামের এচারুল হকের ছেলে। নির্যাতিতা ওই নারী একই এলাকার মৃত আবুল শামার মেয়ে।
ভুক্তভোগী ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, মাথায় পবিত্র কোরআন শরিফ পড়ে শা’রী’রি’ক সম্পর্ক। ২০১৩ সালের অক্টোবরে, শোয়াইবুল হককে চট্টগ্রামের এক লোককে ডেকে ‘বিয়ে’ করেন। কিন্তু নিবন্ধন করতে বলা হলে নানা ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তা এড়িয়ে যায়। এভাবে তিনবার আমার সন্তানকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করেন।
আমি এখনও 8 মাসের গর্ভবতী। এই মুহুর্তে সে আমাকে বৈবাহিক সম্পর্কের সামাজিক মর্যাদা না দিয়ে আমাকে লুকিয়ে রাখে। সমস্ত যোগাযোগের নম্বর লুকিয়ে যায়। সেই সঙ্গে বাবার ইন্ধনেই এখন দেশত্যাগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার অভিযোগ, এর জেরে ওই মহিলার আগের সংসার ভেঙে যায়।
জানা গেছে, ওই নারীর আগের সংসার ছিল। এর মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা শোয়েবুল হকের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে ওই সংসার ভেঙে যায়। এরপর থেকে ওই তরুণীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে করার কথা ছিল অভিযুক্ত যুবক শোয়াইবুল হকের। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিয়ে চূড়ান্ত হওয়ার দুই মাস পর মেয়েটির বাবা মারা যান। এ সুযোগে অভিযুক্ত যুবক শোয়াইবুল হক ওই তরুণীর সঙ্গে প্রতারণামূলক শারীরিক সম্পর্ক করে। এটি এ পর্যন্ত তিনটি গর্ভপাত ঘটিয়েছে। বর্তমানে মেয়েটি আবারও অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে সামাজিক মর্যাদা দিতে চাপ সৃষ্টি করে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শোয়াইবুল হক বলেন, ওই নারী দুই সন্তানের জননী। তার সঙ্গে পারিবারিক বিরোধের কারণে তিনি আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেন।’
এদিকে এ বিষয়ে ইদগাঁও থানার ওসি আব্দুল হালিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করেই মামলা নেয়া হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ঐ যুবক ৬ মাসের জামিনে রয়েছেন। ভুক্তভোগী ঐ নারীর মেডিকেল রিপোর্ট আসলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।