বাংলাদেশে সুষ্ঠ নির্বাচন এর জন্য বিএনপি বারবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে তবে এই বিষয়টি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ মানতে নারাজ। অনেকেই মনে করছেন এই রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটাতে এবং নির্বাচন সুষ্ঠ করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনা উচিত। এই প্রসঙ্গ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক শামসুল আলম নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
বর্তমান সংকট সাংবিধানিক নয়, রাজনৈতিক; উত্তরণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন জরুরি ”পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।”সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে অপরাজনীতি হয়েছে। আইনকে অস্ত্রে পরিণত করা হয়েছে।”
”তত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় দেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অশান্তি সৃষ্টিকারী রায়।” এই রায়প্রদানকারী প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে পরপর তিন দফায় আইন কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। যারা তত্বাবধায়ক সরকার তুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন সেইসব বিচারপতিদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। আর যারা ‘তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখার পক্ষে’ মত দিয়েছেন, তাদের প্রধান বিচারপতি হওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
“সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে জনগণের মতামত নেওয়া হয় নি, যা অসাংবিধানিক।”
”তিন মাসের জন্য বৃহত্তর স্বার্থে নির্বাচনকালে কিছু অনির্বাচিত ব্যক্তি থাকলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায় না।”
“সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সবাই একমত। কিন্তু, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এই সরকার কিংবা সংসদের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।”
“বর্তমান বাস্তবতায় দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ঠিক করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেরামত করা প্রয়োজন। একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন সবকিছু না হলেও এটাই হলো প্রথম পদক্ষেপ।”
”বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে (বিজয়ীর নিকট) ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রয়োজন।