চলতি বছরের গত ১৭ জানুয়ারি সকালে কেরাণীগঞ্জের একটি ব্রিজের পাশ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বাংলা বড় পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর মৃ’ত’দেহ। এরপর তদন্ত চালাতেই ফেঁসে যান শিমুর স্বামী ও তার এক বন্ধু। দাম্পত্য কলহের জের ধরে শিমুকে ‘হ”ত্যা” করেন স্বামী।
এ ঘটনায় শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এসএম ফরহাদের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ‘শিমুকে’ ধর, আজ’কে ‘মে”রে’ ফেলব’- নোবেল তার বন্ধু ফরহাদকে এই নির্দেশ দেন। তার কথা মতো শিমুকে ধরতে গেলে ফরহাদকে ধা’ক্কা দেয় শিমু। তখন নোবেল শিমুর ‘গ’লা’ চেপে ধরতে গেল। শিমু ওকেও ধাক্কা দেয়। পরে তারা দুজনে একসাথে শিমুর উপরে চড়াও হয়। ফরহাদ শিমুর গ’লা চে’পে ধরে’ন আর নোবেল ধরেন দুই হাত। ফ্লোরে পরে যান শিমু। স্ত্রীর (শিমু) গ’লায় পা দিয়ে দাঁড়ান নোবেল। একপর্যায়ে শিমুর প্রস্রাব হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে শরীর নি’স্তে’জ হয়ে পড়ে। না ফেরার দেশে পাড়ি জমান শিমু।
স্বামী নোবেলের সঙ্গে নায়িকা শিমু
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে বাংলা সিনেমা জগতে প্রথমবারের মতো পা রাখেন নায়িকা শিমু। ক্যারিয়ারে ২০ টিরও অধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তবে ছোট পর্দায় কাজের মধ্যদিয়ে অভিনয় করমজীবন শুরু করেন তিনি