খুলনায় চলছে বিএনপির সমাবেশ। গাড়ি বন্ধ থাকায় দূর দূরান্ত থেকে এসে সমাবেশএ অংশ নিয়েছেন অনেকে ,সেই সাথে অনেকেক আবার গতরাতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে সমাবেশের জন্য নির্ঘুম রাত্রিযাপন করেছেন। তবে সমাবেশে এসেই পুলিশের সাথে তাদের ঝামেলা শুরু হয়েছে।
খুলনা রেলস্টেশনে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
বিএনপির অভিযোগ, পুলিশ সমাবেশে আসতে বাধা দিলেও পুলিশ বলছে, কেউ বাধা দেয়নি।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, আগতরা নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা স্টেশনের কাঁচ ভেঙে দেয়। পুলিশকে খবর দিলে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
দুপুর ১২টার দিকে রেলস্টেশনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়। উল্টোদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছিলেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোনালী সেন বলেন, কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি, ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, জনসভাকে ঘিরে সরকার ও পুলিশের এমন সহিংসতা খুলনার মানুষ কখনো দেখেনি। নেতাকর্মীদের পথে বাধা দেওয়া হচ্ছে, আটক করা হচ্ছে। ট্রেনে করে সমাবেশে হামলা হয়।
“এভাবে সমাবেশ বন্ধ করা যাবে না। শত বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা সমাবেশের একদিন আগে খুলনায় প্রবেশ করেন। এখনো তারা দূরদূরান্ত থেকে আসছেন। ইতিমধ্যেই প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনায় পৌঁছেছেন।
খুলনার সমাবেশকে ঘিরে বেশ আলোচনা তৈরী হয়েছে এবং দেখা গেছে বিএনপির এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে কমতাসীন দল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও বেশ উজ্জীবিত হয়েছেন এবং বিএনপির এই সমাবেশ প্রতিহত করতে তারা চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে