সম্প্রতি একের পর এক বেফাঁস বক্তব্য দিয়ে দেশের প্রায় প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। যদিও পরবর্তীতে নিজের দেয়া সেই বক্তব্য অস্বীকার করেন তিনি। একই সঙ্গে মিডিয়ার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করতে দেখা তাকে।
তবে হঠাৎ করেই এমন কি হলো তার? কেন মুঠোফোনে সাড়া দিচ্ছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী? তার মুঠোফোন বেজেই চলেছে! একবার। দুইবার। তিনবার ফোন দিয়েও পাওয়া গেল না পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনকে। ফোন দেওয়ার প্রায় তিন ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তিনি ব্যাক করেননি। শুধু কি এই প্রতিবেদক?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা সিলেটের কোনো নেতার ফোনও ধরছেন না। তার কি হয়েছে?
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সঙ্গী হতে না পারায় শুধু স্থানীয় নেতাকর্মীরাই নয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদেরও রয়েছে নানা প্রশ্ন। তাহলে মেসেজ ক্লিয়ার?
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সঙ্গে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তি বলেন, ‘স্যার একটু অসুস্থ, কী বলব ভাই’, হাসতে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সবই তো বোঝেন ভাই, কী বলব ভাই! স্যার একটু অসুস্থ। চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা চলছে। ফোনে নয়, আসেন সামনাসামনি কথা বলি ভাই।
রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি ভারত সফরে যাচ্ছেন। তাহলে তার কি হল? শুধু অসুস্থ নাকি অন্য কোনো বার্তা?
১৮ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমী উৎসবে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, “আমি ভারত সরকারকে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য অনুরোধ করেছি। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেছেন যে তিনি পরের দিন তার বক্তব্যের বিষয়ে অনড় ছিলেন। তিনি বলেন, “আমি যা বলেছি। আমি জেনে শুনে বললাম, আমি ভুল কিছু বলিনি।”
সরকারও এমন মন্তব্যে অস্বস্তিতে। যদিও পরে বলেন, তিনি তা বলেননি। কিন্তু বাস্তবতা হলো—তিনি যা বলেছেন তা বলেছেন এবং কোনোভাবেই খণ্ডন করতে পারেননি।
তাহলে কি সরকারকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যই তার জন্য কাল হলো। বেফাঁস মন্তব্যের বিষফোঁড়ার বিষেই কী তিনি কাবু। তাহলে কী হবে তার দায়িত্বের? যেখানে মন্ত্রীকে বাদ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হন, তাহলে কী নতুন কিছু বার্তার অপেক্ষা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নতুন বাতাস বইতে শুরু করছে!
এদিকে ৪ দিনের সফরে গতকাল সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার থাকার কথা থাকলেও শেষ মুহুর্তে এসে তাকে বাদ দেয়া হয়।