গত ১৬ বছর আগে নিজ গ্রাম বরগুনার পাথরঘটা ছেড়েছিলেন বিএনপির অন্যতম নেতা ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম মনি। তবে সম্প্রতি এক সমাবেশের ডাক দেয় পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপি। আর এ সমাবেশে যোগ দিতে সঙ্গী-সাথী নিয়ে চিরচেনা সেই গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলেন তিনি।
তবে পাথরঘাটায় আসতেই মনির গাড়ির বহরে ‘হা’ম”লা’, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। নুরুল ইসলাম মনিকেও শারীরিকভাবে লা’ঞ্ছি’ত করা হয়।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া সিএন্ডবি এলাকায় একটি কনভয়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তেল-গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্র আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে যোগ দিতে সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি ঢাকা থেকে বরগুনার পাথরঘাটায় আসছিলেন। তার কনভয় পাথরঘাটার সিএন্ডবি এলাকায় প্রবেশ করলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শতাধিক মোটরসাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আ’হ’ত হয়েছেন বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী। এ ঘটনার জেরে এলাকায় চর’ম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, দীর্ঘ ১৬ বছর পর নিজ এলাকায় আসছেন বিএনপি নেতা ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) পাথরঘাটা উপজেলা শহরে তার প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তার আগমনের খবরে এলাকায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। তারাও আমাকে ‘মা’র’ধ’র করে। শতা’ধিক মোটরসাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ‘আ’হ’ত” হয়েছেন শতাধিক নেতাকর্মী। বর্তমানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ভয়ে জীবন বাঁচাতে আমরা বিচ্ছিন্ন।
এদিকে এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ১০-১২ জন আহ্য হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।