বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে এবং দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকট চরম। এই অবস্থায় অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে রয়েছে এমনটা জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক শামসুল আলম। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
দেউলিয়া ঘোষণা- ব্যাংকের টাকা লুটের নতুন ধান্দা!
চলতি বছর অন্তত ২৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। এ তালিকায় প্রবাসী ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাবেক চেম্বার সভাপতি, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকও রয়েছেন। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে দেশের ১৮টি ব্যাংক, দুটি এনজিও ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা রয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এ পাওনার বিপরীতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেরই গচ্ছিত তেমন কোনো সম্পদ নেই।
একটি মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, বাদীগণ অর্থের অভাবে বর্তমানে একবেলা খান তো দুবেলা না খেয়ে থাকেন। আরেকটি মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, অর্থের অভাবে বাদীর ছেলেরা টিউশনি করে লেখাপড়া চালায়। ব্যাংকের টাকা মেরে দিতে এভাবে নিজেদের ফতুর দেখিয়ে দেউলিয়া ঘোষণার প্রবণতা বাড়ছে ঋণখেলাপিদের মধ্যে। অথচ তাদের বেশিরভাগই দেশে-বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংকের টাকা ফেরত না দিতেই এমন কৌশল নিচ্ছেন ঋণখেলাপিরা। তারা ঋণের টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।ফলে এই দেউলিয়া হতে চাওয়া ব্যাংকের টাকা মেরে দিতে নতুন ধান্দা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা!