কাতারে সম্প্রতি এক শিশুর না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছিল গোটা দেশ এবং অনেকেই এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে তবে ২৭ দিন আগে কাতারে ঘটে যাওয়া ঘটনায় মিনসা মারিয়াম জ্যাকবের মৃত্যু কাতারসহ সব দেশের নাগরিকদের মর্মাহত করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে কাতারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরবেও।
সৌদি আরবে গতকাল স্কুল বাসে আটকে হাসান আলাভি নামের পাঁচ বছরের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৯ অক্টোবর) সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ কাতিফে এ ঘটনা ঘটে। চালকের ভুলের কারণে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী বাসের ভেতরে আছে কি না তা পরীক্ষা না করেই বাসের চালক দরজা বন্ধ করে দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় কাতিফের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। উল্লেখ্য, মিনসা মারিয়াম জ্যাকবের মৃত্যুর দিন কাতারে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নিহতের বাবা হাসেম আলাভি আল-শুলা জানান, কিন্ডারগার্টেনের গাড়িটি প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬ টায় তার সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যায়। গাড়িটি একটি ছোট মাইক্রোবাস যার ধারণক্ষমতা ১২ জন যাত্রী। চালকের সঙ্গে সাধারণত একজন সহকারী থাকলেও ঘটনার দিন অসুস্থতার কারণে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।
হাসানকে নেওয়ার সময় গাড়িতে আরও তিন শিশু ছিল। হাসানকে তুলে নেওয়ার পর চালক আরও ৯ শিশুকে নিয়ে হিল্লাত মহিষ শহরে যান। সকাল ১১:৩০ এ , ড্রাইভার তাকে ফোন করে জানায় যে তার সন্তান স্কুল বাসে আছে এবং নড়ছে না। হাসানকে কেউ আহত করেছে কিনা জানতে চাইলে চালক বলেন, কিছু হয়নি। হাসানকে গাড়ির সিটের মাঝে পাওয়া গেল।
হাসেম চালককে তার ছেলেকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। ড্রাইভার হাসানকে স্কুলের কাছে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। তবে হাসানের বাবা সেখানে যাওয়ার আগেই গাড়িতেই মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন বিশেষ বাস এর ব্যবস্থা থাকে কাতারে এবং সেই বসে করেই তারা স্কুলে গিয়ে থাকে তবে এবার দেখা গেল অসাবধানতার কারনে এক শিশুর প্রাণ গেল সেই বাসের মধ্যে