জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) কর্মকর্তা মো. আকরাম হোসেনের স্ত্রী মিসেস সুরাইয়া পারভীনের ব্যাংক হিসাবে ১৫ বছরে ১২৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের অভিযোগ, মিসেস সুরাইয়া পারভীন আয়ের উৎস ছাড়াই বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এনএসআই-এ সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত তার স্বামী মো. আকরাম হোসেন চাকরির সুযোগ নিয়েই অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করেছেন এবং স্ত্রীর নামে করেছেন।
মিসেস পারভীনের নামে তৈরি করা তিনটি বেনামি প্রতিষ্ঠান – স্টার ইলেকট্রো ওয়ার্ল্ড, স্টার ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও স্টার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস – এর মাধ্যমে লেনদেন করা হয়েছে এই বিপুল অঙ্কের টাকা। দুদকের ধারণা, আয়ের উৎস গোপন করতেই মিসেস পারভীনের নামে বেনামি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে অর্থ বৈধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আকরাম হোসেন ও তার স্ত্রী মিসেস সুরাইয়া পারভীনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক। দুদকের উপপরিচালক মসিউর রহমান মামলা দুটির তদন্ত করছেন।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
*আকরাম হোসেনের বেতন প্রায় ৫৫ হাজার টাকা।
*সাভারে ১৬ শতাংশ জমির ওপর আকরামের রয়েছে ছয়তলা বাণিজ্যিক ভবন।
*মিরপুরে স্ত্রীর নামে তিনটি ফ্ল্যাট।
*নাটোরে বিলাসবহুল বাড়ি আর পর্যটন এলাকা সেন্টমার্টিনে জমিসহ বিপুল সম্পদের মালিক আকরাম দম্পতি।
*মিসেস পারভীন একজন আয়করদাতা। তিনি ২০০৯-২০১০ করবর্ষ থেকে আয়কর দিয়ে আসছেন।