কলকাতায় আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার খবর প্রকাশের পর শিলাস্তি রহমান নামে এক নারীর নাম সামনে আসে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমপিকে হত্যার জন্য কলকাতার নিউ টাউনে অভিজাত ‘সঞ্জীবনী গার্ডেনে’র যে ট্রিপ্লেক্স ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়েছে, সেখানে অবস্থান করেছিলেন ওই নারী। হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করে মূল খুনি আমানুল্লাহর সঙ্গে ১৫ মে দেশে ফেরেন তিনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি)-র হাতে ইতিমধ্যেই ওই নারী ধরা পড়েছেন বলে জানা গেছে। ডিবি পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, শিলাস্তি রহমান এমপি আনার খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী। তার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
কোলকাতা সূত্রে জানা গেছে, যে ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছিল সেই ফ্ল্যাটটি ৩০ এপ্রিল ভাড়া নিয়েছিলেন আক্তারুজ্জামান শাহীন। কলকাতা পুলিশ ফ্ল্যাট কম্পাউন্ডের সিসিটিভি ক্যামেরা বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে ১৩ মে একসঙ্গে তিনজন ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ। একজন নারী। একদিন সেখানে থাকার পর ফ্ল্যাট থেকে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা বেরিয়ে আসেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই নারী শিলাস্তি।১৩ মে তিনি আমানুল্লাহ ও এমপি আনারের সঙ্গে ফ্ল্যাটে ঢুকে থাকতে পারেন। ঢাকার ডিবি সূত্র বলছে, তাদেরও ধারণা ওই নারীই শিলাস্তি। কারণ তিনি ১৫ মে বিমানে দেশে ফেরেন। তার সঙ্গে দেশে ফেরেন মূল কিলার আমানুল্লাহ। সূত্রটি আরও জানায়, ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন এমপি আনারকে কলকাতা নিতে এই নারীকেই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। কারণ সব পরিকল্পনা করে শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এলেও শিলাস্তি থেকে যান কলকাতা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একজন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন,হত্যাকাণ্ডের সময় শিলাস্তি তিনতলা ফ্ল্যাটের একটি তলায় অবস্থান করছিলেন। তবে সামনে ছিলেন না। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর তিনি নিচে নেমে আসেন। তারপর লাশ লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করেন। আমানউল্লাহ ও শিলাস্তি প্রথমে এমপি আনারের টুকরো টুকরো লাশের ট্রলি নিয়ে চলে যায় বলে জানা গেছে।