এবার মার্কিন স্যাংশনে থাকা রাশিয়ান জাহাজের বিষয় নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতেও এর প্রভাব পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক শামসুল আলম। নিচে তার স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল-
মার্কিন স্যাংশনে থাকা রাশিয়ান জাহাজের মালপত্র নিয়ে এক মহা ফ্যাসাদে পড়েছে আওয়ামীলীগ সরকার। সমস্যাটা হলো, ঐ জাহাজটার নাম ছিল স্পার্টা-থ্রি, কিন্ত মার্কিন স্যাংশন খাওয়ার পরে সেটার রং বদলে নতুন নাম দেয় উরশা মেজর !
এই জাহাজে করে রাশিয়ানরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালপত্র পাঠায়। এটা বাংলাদেশের মংলা পোর্টে গত ডিসেম্বরে খালাস করার কথা ছিল, কিন্তু নামাতে পারে নাই মার্কিন চাপে। এই জাহাজ সংক্রান্ত বিপদ থেকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে দিল্লি। তারা ঘোষণা করে, তাদের কলকাতার হলদিয়া পোর্টে ওই জাহাজ ভিড়িয়ে মালপত্র নামিয়ে সড়ক পথে বাংলাদেশে পাঠাবে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট ক্ষেপে যায় এবং ওয়াশিংটন থেকে একজন সহকারি মন্ত্রীকে পাঠায় দিল্লি। দিল্লিকে বলা হয়, ওই নিষিদ্ধ জাহাজ ভারতে ভিড়ালে ভারতের ওপরও স্যাংশন দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র! দিল্লি বুঝতে পারে বিপদটা খুব বড় হবে। ফলে পিছু হটে দিল্লি। জাহাজটি দু‘সপ্তাহ হলদিয়ায় অপেক্ষায় রেখে ফেরত পাঠায় ভারত!
জাহাজটি ভারত থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে রাশিয়ায় ফেরত যাওয়ার কথা! কিন্তু সেদিকে না গিয়্ গতিপথ পরিবর্তন করে এখন চীনের দিকে যাচ্ছে। অর্থাৎ মালপত্র চীনে নামিয়ে তারপরে অন্য জাহাজে করে বাংলাদেশে আনা হবে। বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ছয়টা গোপন শর্তের মধ্যে এটা ছিল একটা যে, যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন মেনে চলতে হবে। এ অবস্থায় এভাবে চীনে ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে মার্কিন স্যাংশনকে বাইপাস করা কি এত সহজ সমাধান নাকি?
চীনকে ব্যবহার করতে গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরো ক্ষেপে যাবে ঢাকার মাদবারদের উপর। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা এমনিতেই নিষিদ্ধ ঘোষিত পুলিশ অফিসার মামুন এবং সেনা অফিসার ব্রিগেডিয়ার জাহাঙ্গীর, তোফায়েল সহ অন্যান্যদেরকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রেখেছে, এটা গুরুতর অভিযোগ, তার উপরে নিষিদ্ধ জাহাজ কেলেঙ্কারী- ফলে আরেকটা স্যাংশন খাওয়ার মুখে রয়েছে ঢাকার ক্ষমতাসীনরা। মোটকথা নিষিদ্ধ জাহাজ নিয়ে চালাকি করতে গিয়ে ধরা খাবে ঢাকা!