বিনোদন জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির স্বামী যুবলীগ নেতা রাকিব সরকারের গাড়ির শোরুমে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে মানুষের মনে। জানা গেছে গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে নগরীর ভাওয়াল বদরের আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে সনিরাজ কার প্যালেসে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মাহী গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (জিএমপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তবে জিএমপি কমিশনার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মাহিয়া মাহির স্বামী রাকিব সরকার গাজীপুরে যুবলীগের রাজনীতিতে রয়েছেন। তার বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে মাহি এখন ওমরাহ করতে সৌদি আরবে রয়েছেন।
শোরুমের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সোনিরাজ কার প্যালেসের গেট ভেঙে বিভিন্ন আসবাবপত্র, দরজা-জানালা ভাঙচুর ও শোরুমের সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়। শোরুমের অফিস ভাঙচুর করে টাকা লুট করে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
শুক্রবার ভোরে ফেসবুক লাইভে গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানান মাহি। এরপর তিনি হামলার বিষয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেন।
মাহির অভিযোগ, ইসমাইল ওরফে লাদেন নামে এক প্রতিপক্ষ তাদের শো-রুম দখল করে নিয়েছে। আর এ কাজে সহযোগিতা করেন জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে গাড়ির শোরুম দখল করছেন তিনি।
মাহি আরও জানান, ১৮ মার্চ শনিবার বিকেল ৫টায় ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ সংলগ্ন সনি রাজ কার প্যালেসে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত জানাবেন তিনি।
তবে অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে পুলিশ বলছে, জায়গার মালিকানা নিয়ে ‘লড়াই’ হয়েছিল।
জিএমপির বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার জাহান বলেন, “৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে হামলাকারীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শো-রুমের জায়গার মালিকানা।তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের জড়ানোর কিছু নেই। জিএমপি এমন একটি শ্রেণীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে যারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলদারি, মাদক চোরাচালান করে আসছে। তারা এখন সেলিব্রিটিদের পুঁজি করে আমাদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বানোয়াট অভিযোগ তুলেছে। এ ঘটনায় আমি বা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এদিকে মাহিয়া মাহির স্বামী রাকিব সরকারের শো রুমের অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রসঙ্গেজিএমপি কমিশনার বলেন, রাকিব সরকার জমি দখল করেছে, বিপক্ষ গ্রুপ মামলা করেছে। রাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ ও অস্ত্র তিনটি মামলায় এফআরটি (ফাইনাল রিপোর্ট ট্রু) রয়েছে পুলিশের কাছে।পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, আমি জিএমপিতে যোগদানের পর কোনো পক্ষই জমির বিষয়টি আমার সামনে আনেনি। আমি তাদের ব্যক্তিগতভাবেও চিনি না। মাহির অভিযোগে আমি হতবাক।