বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে অসঙ্গতি জানিয়েছে বিরোধী দল বিএনপি এর আগে তারা অভিযোগ করেছে নির্বাচনে কারচুপির যার ফলে তাদের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন তবে সেটি মানতে নারাজ সরকার। এই প্রসঙ্গে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্টাস্টাস দিয়েছেন লেখক আব্দুল হাই সঞ্জু। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
শেখ হাসিনা তাঁর নিজের সমালোচনার উত্তরে সব সময় অতীতে ফিরে গিয়ে অতীতের উদাহরণ টেনে তুলনামূলকভাবে নিজেকে উত্তম প্রমাণের চেষ্টা করেন। আল-জাজিরায় দেয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারেও তিনি একই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়েছেন। আওয়ামীলীগের নেতারাও গণমাধ্যমে একই কায়দায় সমালোচনার জবাব দেন। কিন্তু শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মী ভুলে যান, অতীতের সেই মানুষগুলো এখন সংখ্যায় খুব কম।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট যে শিশুর বয়স ছিল ৪, এখন তাঁর বয়স ৫১/৫২ বছর। ৭৫ সালে চার বছর বয়সের শিশু কিছুতেই বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারেনা; মুক্তিযুদ্ধের সময় সে রাজাকারও ছিল না। ১৯৭১ সালে ১০ বছরের শিশুর বয়স এখন ৬২ বছর। ৬২ বছরের এই ব্যাক্তিও রাজাকারও ছিল না; বঙ্গবন্ধুর সমর্থক কিংবা বিরধীতাকারীও ছিল না।
বাংলাদেশের অধিকাংশ ভোটার এখন ৬২ বছরের কম বয়সের। শেখ হাসিনার কিছুতেই এসব মানুষকে বঙ্গবন্ধুর খুনি কিংবা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি মনে করার যুক্তি থাকতে পারেনা। এসব মানুষ যদি বিএনপি কিংবা জামাত করে থাকে, সেটা শেখ হাসিনার রাজনীতিরই ব্যর্থতা।
আল জাজিরার সাক্ষাৎকারে নিজেকে স্বৈরাচারী নন প্রমাণ করতে গিয়ে অতীতের উদাহরণ টেনেছেন শেখ হাসিনা; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা এবং সুষ্ঠু ভোট সম্পর্কিত প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে বিএনপি সহ অন্যদের ওপর দোষারোপ করেছেন।
ভাঙ্গা রেকর্ড বাজানোর দিন শেষ। দেশে এখন অধিকাংশ মানুষ কোনো দল করেনা। বিএনপি-জামাতের সমর্থনও বাড়েনি। কিন্তু ভোটের সময় আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ভোট দিতে গিয়ে জনগণ বিএনপি সহ অন্য দলকে ভোট দেবে। শেখ হাসিনা নিজের কবর নিজেই খুঁড়েছেন।