বাংলাদেশের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। অভিনয় এর মাধ্যমে তিনি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে এবং সেই সাথে দেখা যাচ্ছে তার অভিনয় জীবন নিয়ে মানুষে কোন অভিযোগ নেই বরং তার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষ সমালোচনায় মেতেছে। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রবাসী লেখিকা মিলি সুলতানা। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
সেদিন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব’র একটা নাটক দেখলাম। নাটকের নাম “অপরুপা”! রোড অ্যাকসিডেন্টে মেহজাবিনের অপরুপ চেহারা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। মেহজাবিন জানতেন অপুর্ব তাকে ভালোবাসেন। কিন্তু অ্যাকসিডেন্টে চেহারা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে তিনি নিজেকে আড়াল করে ফেলেন। তবুও অপূর্ব’র মনের টানে তিনি মেহজাবিনের কাছে গিয়ে পৌঁছান। চোখ অশ্রুসজল করে আবেগী সংলাপ ব্যবহার করেন, “তিনি তো অপরুপা মেহজাবিনকে ভালোবেসেছেন। তাই তার চেহারা অপূর্ব’র কাছে কোনো ম্যাটার করেনা। কিন্তু বাস্তবে অপূর্ব ছিলেন তার উল্টো। স্ক্রিনে মন ভোলানো অভিনয় দিয়ে মানুষের প্রচুর বাহবা পাওয়া যায়।কিন্তু বাস্তবে একটুখানি মানবতার পরিচয় দিতে মানুষ খুব কার্পণ্য করে।
প্রতিভাবান অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভার জীবনে বিভীষিকাময় কিছু অভিজ্ঞতা আছে। যখন তাকে রাজীব নামের অমানুষটা সোশাল মিডিয়ায় বাজেভাবে এক্সপোজড করেছিল। যখন সমাজ প্রভার সাথে বৈরী আচরণ করেছে। যখন সমাজের নিকৃষ্ট একদল প্রাণী প্রভার দুরাবস্থায় মজা নিয়েছিল। তখন অপূর্ব প্রভার প্রতি মানবিক আচরণ দেখাতে অক্ষম হয়েছেন। যাকে তিনি এতদিন ধরে ভালোবাসলেন, যাকে বেনারসি শাড়ি দিয়ে মুড়িয়ে নিয়েছিলেন জীবনসঙ্গী হিসেবে। প্রভার চরম বিপদে যখন তার দিকে কাদা ছোঁড়া হচ্ছিলো, অপুর্ব তার পাশে দাঁড়িয়ে বিপদের সঙ্গী হিসেবে অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সব দোষ গেল প্রভার উপর। রাজীব দোষ করেও দোষের দন্ড পেলনা। অনেকেই ভাবতে ভুলে গেছেন যে প্রভা ওখানে ভিকটিম ছিলেন। তিনি পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। কিন্তু নাহ, এই সমাজ আসল অপরাধীদের বরাবরই এড়িয়ে যায়। সেদিন সকল রক্তচক্ষু প্রভার দিকেই স্থির হয়েছিল। ডিস্ক্রিমিনেশান নামক সুক্ষ্ম ঘাতকের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়তে হয়েছিল প্রভাকে। আজ অবধি প্রভা বিরল বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। শুনলাম কে বা কারা তার নামে টিকটক আইডি খুলে উল্টাপাল্টা কনটেন্ট শেয়ার করছে। যার ফলে তিনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন।
প্রভা অত্যন্ত ভালো অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও অজ্ঞাত কারণে অবহেলার শিকার হয়েছেন। সামাজিকভাবে তাকে অপদস্থ করা বন্ধ হোক। যে সমাজে রাজীবদের কোনো দোষ নেই, সেই সমাজে প্রভাদের উপরই তো পাহাড় ভেঙে পড়বে, তাইনা? প্রভা ভালো অভিনেত্রী, কিন্তু যারা তাকে নিয়ে কাজ করতে হেজিটেশন ফিল করে তারাই কিন্তু রাতের অন্ধকারে লাল নীল কমলার ঝিকিমিকি আলোয় শরীর ভিজিয়ে ধুমায়ে সেক্স র্যাকেট চালাচ্ছে। নাটকের আড়ালে অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।