সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে অপু বিশ্বাস এবং বুবলিক এনিয়ে আবারো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে। মূলত সাকিবের বড় ছেলে জয়ের সাথে নানা কর্মকান্ডের জেরে বুবলি পাল্টা স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গ নিয়ে সানজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রবাসী লেখিকা মিলি সুলতানা। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
কদিন ধরে বুবলি অপু বিশ্বাস আর অনন্ত জলিলের বউ বর্ষাকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ভরপুর জোয়ার বইছে। অপু বিশ্বাস এবং বর্ষা এই দুই রণরঙ্গিণীকে নিয়ে বিস্তারিত বলার আগে ছোট্ট করে শাকিব খানকে নিয়ে একটু বলে নিই, ওমানে শো করতে গিয়েছেন শাকিব খান। তার একটা ভিডিও ক্লিপ নজরে পড়লো। শাকিব ভিডিও কলে তার বড়ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের সাথে কথা বলছিলেন। বাবার কাছে আহলাদ করছিল ছোট্ট জয়। ছেলের বায়না নিয়ে বাবাকে বেশ কনসার্ন দেখা গেল। আসলে ভীষণ ভালোলাগা একটা দৃশ্য ছিল এটা। বাবারা যখন তাদের সন্তানকে আদর করেন, সেটা জগতের এক অনন্যসাধারণ দৃশ্য হয়ে ওঠে। এবার আসি দুই রণরঙ্গিণীর ভার্চুয়াল যুদ্ধ প্রসঙ্গে। অপু বিশ্বাস নিঃসন্দেহে ভালো অভিনেত্রী।
সারাদেশে তার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা। অপু বিশ্বাসের সিমপ্যাথাইজার আছেন প্রচুর। শাকিব খান যখন পাষণ্ডের মত আচরণ করেছেন, নিস্পাপ শিশুবাচ্চাসহ অপুকে দুর্ভোগ দুর্দশার দিকে ঠেলে দিয়েছেন, তখন অপুর প্রতি অগণিত মানুষের ভালোবাসা জন্মায়। মানবিক দিক বিচার করে অপুকে সমর্থন দেয়া স্বাভাবিক ছিল। পাশাপাশি বুবলির উপর মানুষের ক্ষোভ জন্মায়। কারণ বুবলিকে তখন অপুর প্রতি নির্মম আচরণ করতে দেখা গেছে। সুযোগ বের করেই অপুকে একহাত দেখে নিতেন বুবলি। অপুকে তিরস্কার করে বুবলি তার টাইমলাইনে প্রচুর ইতিহাস লিখেছেন সে সময়ে। বুবলির ব্যাকরণ জ্ঞানের আঘাতে অপু বিশ্বাস ফালাফালা হয়ে গেছেন। পাবলিক কিন্তু তখন এসব ভালোভাবে নেয়নি। অপু বিশ্বাসকে তীব্র বাক্যবাণে জর্জরিত করে ক্ষান্ত হননি তিনি। তলে তলে অপু বিশ্বাসের সন্তানের পিতাকে নিজের দিকে ম্যাগনেটের মত টানেন বুবলি। একজন নারী হয়ে আরেকজন অসহায় নারীকে সর্বশক্তি দিয়ে তাচ্ছিল্য করেছেন, অপমান করেছেন। তারপরের কাহিনী তো সবার জানা।
করোনার অতিমারির সময় হঠাৎ বুবলির “বেবি বাম্প” দৃশ্যমান হল। বুবলি শাকিবের টাইমলাইনে নিজের হাতে একটা স্ট্যাটাস লিখে দিলেন। শাকিব তার ছোটছেলে শেহজাদ খান বীরকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হলেন। তবে বুবলির চাপে পড়ে সামাজিকভাবে বীরকে স্বীকৃতি বাধ্য হওয়ার কারণে মনে মনে বুবলির প্রতি ত্যক্তবিরক্ত হলেন শাকিব। অপু বিশ্বাসের ছেলের কারণে বুবলি মারাত্মক ইনসিকিউরড হয়ে পড়লেন। অপু বিশ্বাসের সাথে শাকিবের পুনর্মিলন হয়ে যায় কিনা সেই আশংকায় বুবলি বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেন। তবে শাকিব খান অপুর কাছে ফিরে যাবেন, তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তিনি জয়ের সাথে উচ্ছ্বাস নিয়ে কথা বলেছেন।
আবার সেই ভিডিও উচ্ছ্বসিত হয়ে ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। তবে শাকিবের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, জয়কে শাকিব অস্বীকার করতে পারবেন না। শাকিব যখন অপুর উপর থেকে মুখ সরিয়ে নেন তখন পাবলিকের সব সহানুভূতি অপু বিশ্বাস এবং তার ছেলে পান। সেদিকে হিসেব করলে পাবলিকের কাছে অপু বিশ্বাসের গ্রহনযোগ্যতা বেশি। তবে শাকিব অপুর কাছে ফিরে যাওয়ার চিন্তা করছেন না। ছেলে জয়কে অস্বীকার করতে চান না বলেই শাকিব পাবলিকের চোখে তার ইমেজ পুনরুদ্ধার করতে চেষ্টা করছেন। তবে তিনি বুবলির কাছেও ফিরবেন না।
অপু বিশ্বাসের একটা জিনিস খুবই দৃষ্টিকটু লাগে। সেটা হল অপু অন্যকে তাচ্ছিল্য করার কায়দাটা ভালোভাবে রপ্ত করেছেন। অনন্ত জলিলের বউ বর্ষার হাতের আংটি নিয়ে অপু কেন তাকে বিদ্রুপ করবেন? তাও টিভির মাধ্যমে? এমন জঘন্য কাজ অপুকে মানায় কি?? বর্ষার স্বামীর টাকা আছে, তিনি তার স্বামীর টাকায় বিলাসী জীবনযাপন করেন। সেটা কেন অপুর সাবজেক্ট হবে? বর্ষাকে বিদ্রুপ করতে গিয়ে অপু তার ইমেজ নষ্ট করেছেন। তিনি একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রী। তাকে রাস্তার মেয়েদের মত আচরণ করলে মানায় কি? অপুকে তার ব্যক্তিত্ব রক্ষার প্রতি দায়িত্ববান হওয়া উচিত।
বর্ষাকে বিদ্রুপ করতে গিয়ে অপু তার ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্যহানি ঘটাচ্ছেন। আর বর্ষার আদেখলাপনা দেখে হাসি পাচ্ছে। তিনি ডায়মন্ডের রিং পরেন। রানী ক্লিওপেট্রা নামক রিং পরে ফেসবুকে শো অফ করছেন। তার আচরণে বোঝা যাচ্ছে অনন্ত জলিলকে বিয়ে করে তিনি হঠাৎ ধনী বনে গেছেন। তাই উঠতে বসতে বর্ষার এমন শো অফের ছড়াছড়ি। আর একটি কথা, বর্ষা যদি তার টাইমলাইনে বুবলি ও তার ছেলের ছবি শেয়ার করেন, সেখানে অপুর সমস্যা কোথায়? অপুকে পাল্টাপাল্টি ভার্চুয়াল চুলোচুলিতে অংশ নিতে হবে কেন??
অপু বিশ্বাস কি হঠাৎ বেকার হয়ে পড়েছেন? তার কাজকর্মের অভাব পড়েছে? অপু, অন্যকে বিদ্রুপ করা ছাড়ুন। মানুষের সহানুভূতি পাওয়া মানুষ আপনি। মানুষের সহানুভূতিকে বিরক্তির পর্যায়ে টেনে নামাবেন না। বুবলির ছেলে শেহজাদ খান বীর নিস্পাপ শিশু। তার কোনো অপরাধ নেই। বুবলির বিরোধীদের বলছি, এই পবিত্র শিশুটিকে সকল ট্রল সকল বাজে সমালোচনার ঊর্ধ্বে রাখুন। শিশুকে আপনাদের অসুস্থ উল্লাসের উপকরণ বানাবেন না। “শেহজাদের চেয়ে আব্রাহাম সুন্দর” এসব বলে বাজে ট্রল করবেন না।