হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায় ভাল দিন ক্ষণ দেখার একটা ব্যাপার থাকে সেই অনুযায়ী হিন্দু শাস্ত্র মতে চৈত্র মাসে বিবাহ হয় না। ফলে ১৪২৯ সালের ২৪ ফাল্গুন (গতকাল বৃহস্পতিবার) ছিল বাংলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েদের বিয়ের শেষ শুভ দিন। তাই গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ২৪ ফাল্গুন রাতে প্রায় অর্ধশতাধিক হিন্দু বিয়ে হয়। শেরপুর জেলা শহরে অনুষ্ঠিত হয়।
এই দিনে বিয়ে না হলে বিয়ের পরবর্তী তারিখের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৪৩০ সালের বৈশাখ মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রায় দেড় মাস। তাই চলতি ফাল্গুন মাসের শেষ শুভ দিনে বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের বিয়ের আয়োজন করেন। একদিনে এতগুলো বিয়ে হওয়ায় পুরোহিত-সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সঙ্গীতশিল্পীদের চাহিদাও। বিয়ার ধুম পাড়ার বিয়ে ও কমিউনিটি সেন্টার ছিল গানে ভরপুর। এছাড়া নগরীতে বিপুল সংখ্যক বিয়ে পুণ্যার্থীর আগমন ঘটে। দূরদূরান্ত থেকে আসা বরযাত্রীদের রাত্রিযাপনের জন্য শহরের আবাসিক হোটেলগুলো ছিল পূর্ণ।
গত বৃহস্পতিবার ছিল ২৪ ফাল্গুন আর এই দিনটি হিন্দুধর্মালম্বীদের জন্য শুভ একটি দিন ছিল যার কারনে এই দিনে বিয়ের ধুম পরে যায়। শেরপুরের বিশিষ্ট পুরোহিত বাবলু গোস্বামী বলেন, কথায় আছে, ভালো কাজে দেরি করা উচিত নয়। ফাল্গুন মাসের শেষ দিনে বিয়ে না হলে প্রায় দেড় মাস অপেক্ষা করতে হয় সন্তানদের অভিভাবকদের। অনেক সময় নানা প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে। তাই এই চিন্তা মাথায় রেখেই বৃহস্পতিবারের শুভ দিনটিকে কাজে লাগিয়েছেন ছেলেমেয়ের অভিভাবকরা।