সম্প্রতি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি ডাকাতির ঘটনা নিয়ে সারা দেশে চলছে আলোচনা এবং কিভাবে এই ঘটনাটি ডাকাতরা ঘটালো তা নিয়েও নানা কথা হচ্ছে এই প্রসঙ্গে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক শামসুল আলম। নিচে সেটি তুলে ধরা হল-
ব্যাংক ডাকাতি থেকে বিড়ালের মাংশ- একই সূতোয় গাঁথা ষড়যন্ত্র!
🐈
আচ্ছা এই যে কাতুকুতু দিয়ে কথিত ডাকাতরা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা লুটে নিয়ে চলে গেলো বীরদর্পে, ঐ টাকা কে বা কারা পরিবহনের করছিলো, জানেন তো?
ঐ কাজের দায়িত্বে থাকা মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলো ফরিদপুরের লোক যশোদা জীবন দেবনাথ (আধা-ভারতীয়)! যিনি বর্তমানে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক, তার চেয়েও বেশি পরিচিত টেকনোমিডিয়া লিমিটেড, মানি প্ল্যান্ট লিংক ও প্রোটেকশন ওয়ান প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক! দেশের এটিএম মেশিনের সিংহভাগই সরবরাহ করছে তার প্রতিষ্ঠান।
তো, এই দেবনাথ বাবু নতুন এক কিছিমের ডাকাতি উদ্ভাবন করেছেন, যেখানে ডাকাতরা কোনো গুলি না ফুটিয়েই আপোষের ভিত্তিতে কোট কোটি টাকা ছিনতাই করতে পারছে।
ঘটনার বর্ণনা এমন এসেছে- বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে রাজধানীর উত্তরায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দলটি মাইক্রোবাসে এসে সিকিউরিটি কোম্পানি মানি প্ল্যান্ট লিংক (প্রাইভেট) লিমিটেডের গাড়ির গতি রোধ করে। এ সময় তাদের হাতে অস্ত্র ছিল না। এরপর তাদের একজন নিজেকে ডিবি পরিচয় দিয়ে গাড়িতে থাকা কর্মীদের চড়থাপ্পড় ও ঘুষি মেরে টাকাভর্তি চারটি ট্রাংক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়
কি দারুণ না…. ফুটফুটে সুন্দর!!
এই ঘটনার সাথে অবশ্যই যশোদার ফার্ম এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের কেউ না কেউ জড়িত! প্রশ্ন হলো, যশোদা জীবন দেবনাথকে দেশের টাকা পরিবহন, বেশিরভাগ এটিএম মেশিন সরবরাহের কাজ কে বা কারা দিলো? তার নিরাপত্তা চেক কোন সংস্থা করেছিল, কারাই বা তদবির ও সুপারিশ করেছিল? নাকি সরাসরি দিল্লির হটলাইনের কলে সব ঘাট পার হয়েছিল?
তবে এবারে যদি ক্যাশলুট থেকে যশোদা পার পেয়ে যায়, সামনে হয়ত দেখা যাবে, দেশের এটিএম মেশিনের কন্ট্রোলও দিল্লি থেকেই হচ্ছে!
শোনা যাচ্ছে, ঢাকাতে ভারতের বোম্বে বিরিয়ানির ৪০টা শাখা খোলার চেষ্টা হচ্ছে (অধিক তথ্যে দরকার), সে কারনে খাবার মার্কেট ধরতেই সুলতান ডাইন নিয়ে “বিড়ালের মাংশে”র কাহিনী অবতারণা করা হয়েছে! আরও আরও নামী দামী যেসব রেঁস্তরা আছে, ফখরুদ্দিন বাবুর্চি, নান্না বিরিয়ানি, হাজীর বিরিয়ানী, হানিফ বিরিয়ানির মত লোকাল সব বিরিয়ানির দোকান একে একে বন্ধ করা দেয়া হবে! বুঝা গেলো কিছু?
পুলিশ র্যাবের বাইরে দেশে যেসকল গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থা আছে, যথা ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি তারা জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে সময় না দিয়ে পড়ে থাকে বিরোধীদল, তথা বিএনপি-জামায়াতের পিছনে- তাদের রাজনীতি বন্ধ করো, ফোনে আড়ি পাতো, মুখ চেপে ধরো, মিটিং সমাবেশ ভাঙো, ধরপাকড় চালাও, জেলগেটের সামনে বসে থাকো যাতে কেউ জামিন পেলেই আবার খপ করে ধরে ফেলা যায়! শোনা গেলো, আজকাল মিলিটারি ইন্টেলিজন্সও নাকি পলিটিকাল বিষয়ে নাক গলায়!
তা গোয়েন্দা বাবুরা। বিএনপিকে ঠেকাতে গিয়ে দেশটাকে কোথায় নিয়ে গেছেন, হিসাব করে দেখেছেন তো? যশোদারা কিন্তু থেমে নেই; ব্যাংক, ব্যবসা, সরকার, প্রশাসন তো গেছেই, দেশটাই গিলে খেয়ে ফেলেছে; বউ-বাচ্চা, ঈমান-পরকালও যাচ্ছে! তখন রাজত্ব করবেন কোথায়? কামলা খাটতে হবে যে!