সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা তৈরী হয়েছে আর সেটি হচ্ছে রাজনীতিতে নতুন দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা গণ-অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বৈঠক করেছেন ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে।মূলত দুজনের ছবিও দেখা যায় একসাথে এরপর শুরু হয় আলোচনা। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক আব্দুল হাই সঞ্জু। নিচে সেটি দেয়া হল-
ব্রেক্সিটের স্লোগান ‘টেইক ব্যাক কন্ট্রোল’ থেকে কপি করে তারেক রহমান বিএনপি’র জন্য ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগান গ্রহণ করেছেন।
লেবার নেতা কিয়ার স্টারমার দলের নতুন স্লোগান নিয়েছেন ‘টেইক ব্যাক কন্ট্রোল’। তাঁর সাথে সুর মিলিয়ে এখন শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকও একই স্লোগান উচ্চারণ করবেন।
ব্রিটেনে এমন অনেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ আছেন, যারা বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ করেন আর ব্রিটেনে লেবার পার্টি করেন। এমন অনেকেও আছেন যারা বাংলাদেশে বিএনপি করেন আর ব্রিটেনে লেবার পার্টি করেন।
অর্থাৎ দেশে দল ভিন্ন, কিন্তু ব্রিটেনে একই দল করেন।
এই প্রজাতির রাজনীতিবিদদের নিয়ে আমার মনে অনেক প্রশ্ন জাগ্রত হয়। এই প্রজাতির রাজনৈতিক মূল্যবোধ আসলে কেমন? তাঁরা দুই দেশের আদর্শের এবং চিন্তার ভিন্নতার ভারসাম্য কীভাবে রক্ষা করেন?
এরা আবার সবাই দ্বৈত নাগরিক। অর্থাৎ বাংলাদেশের নাগরিক, ব্রিটেনেরও। এরা বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য যে কোনো পাসপোর্ট ব্যবহার করে আর ইসরায়েলে যাওয়ার জন্য ব্রিটিশ পাসপোর্ট ব্যবহার করে।
এসব লোক ইসরায়েলে যেতে পারার বিষয়ে বাংলাদেশের আইন কী?
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইসরায়েলের স্পাই প্রযুক্তি হাঙ্গেরির ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি করেছে। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল ভারতে খালাস করে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে। বিষয়টা এই রকম আরকি ।
ভিপি নুরও নাকি অন্য এক দেশে ইসরাইলের এক এমপি’র সাথে সাক্ষাত করেছে। এই এমপি নাকি আবার একজন ইসরায়েলি গোয়েন্দাও।
তো সব জায়গায়ই তো একটা হযবরল অবস্থা। সবাই তো নিজের সুবিধা মতো চলে।
দোষ খালি ভিপি নূরের।
আসল বিষয় হলো, দেশে ফিরলে বাংলাদেশের সরকার তাঁকে একটা ছুতোয় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।
এতো নাটক বানানোর তো কোনো দরকার নাই।
ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিলেই হয়।