আকাশে সেই অদ্ভুত এল নিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের মানুষদের মধ্যে নানা ভিন্ন মোট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছেন। দেখা যাচ্ছে যেন কেউ তির্যকভাবে টর্চ ধরে রেখেছে। অনেকেই এই দৃশ্যের ছবি ও ভিডিও তোলেন। এই দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও। সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এ দৃশ্য দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকেও আলো দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই অদ্ভুত ও রহস্যময় আলো দেখা যাবে। দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মেঘ ও সূর্যের সংমিশ্রণ থেকে এ ধরনের আলোর উৎপত্তি হয়েছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, আকাশে মেঘ ও সূর্যের সংমিশ্রণে এর সৃষ্টি হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা জেলার সব এলাকা থেকেই এ চিত্র দেখা গেছে।
তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা অন্য তথ্য জানিয়েছে।
ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তীর মতে, এই আলোর ৩টি কারণ থাকতে পারে। তিনি বলেন, আকাশের দক্ষিণাংশে আলো দেখা গেছে। তার মতে, প্রথমত এই আলো একটি উল্কাপিণ্ডের কারণে হতে পারে। তিনি বলেন, “এখন উল্কাপাত হচ্ছে। তবে এটি সন্ধ্যায় নয়, রাত ১২টার দিকে। তবে, মনে হচ্ছে আলোর আকার একটু বড়। আমি নিশ্চিত যে এটি জেমিনিড ঝরনা নয়।’ ‘
তার মতে, “এটি রকেটের একটি অংশ হতে পারে।” তিনি বলেন, আলো বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে রকেটের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে। এর একটি ক্ষুদ্র অংশ পৃথিবীর দিকে আসছে। অংশটি যত ছোট হবে, তার আলো তত উজ্জ্বল হবে।
তৃতীয় একটি সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেছেন সন্দীপ। তার মতে, “মিসাইলটি হয়তো কোথাও থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এটি হালকাও হতে পারে।” তাঁর মতে, যদি এটি একটি ক্ষেপণাস্ত্র হয়, তবে আলোটি দিক থেকে অদৃশ্য হওয়ার আগে আরও বেশি সময় ধরে দৃশ্যমান হওয়া উচিত। ফলে সন্দীপের মতো আলোর উৎসকে ঘিরে রয়েছে রহস্য। তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে এই আলো তখনই বিবর্ণ হয় যখন ক্ষেপণাস্ত্রটি ধীরে ধীরে আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যায়।
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকা দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে অপর এক প্রতিবেদনে জানায়, বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়। উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে এ খবর জানা গেছে। যদিও ডিআরডিও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করেনি।
সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, অগ্নি-৫ হল ডিআরডিওর নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্র। এটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা ৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। এর মধ্যে অগ্নি-৫ নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ভারত ও চীনা সেনারা সম্মুখযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ভারতের অগ্নি-৫-এর মতো ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হয়।
প্রসঙ্গত, আকাশে হটাৎ আলো দেখতে পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনে নানা প্রশ্ন জেগেছে বিশেষ করে অনেকে এটাকে নানা যুক্তি দিয়ে প্রমান করার চেষ্টা করছে। অনেকেই বলছেন এটি ভারতের মিসাইল অগ্নি ৫