বাংলাদেশে গুম এর ঘটনা নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে অতীতে এবং বর্তমানে ও গুমসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। দেশে স্বজন হারানো পরিবারগুলোর আর্তনাদ যেন প্রতিনিয়ত ভারী হচ্ছে তবে বাংলাদেশে গুমসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সরকারকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের দপ্তর। এ তথ্য জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে জানানো হয়েছে।এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়েছেন কলামিস্ট সাখওয়াত শায়ান্ত
জাতিসংঘের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার হ্যাডম দেখানোর দেশ বাংলাদেশ নয়। পৃথিবীর অনেক শক্তিধর দেশ মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেও জাতিসংঘের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পার পেয়ে যায়। কিন্ত বাংলাদেশ তেমন পজিশনের দেশ নয়। যে দেশের সীমান্তবর্তী মানুষকে প্রতিবেশি দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা পাখির মতো গুলি করে মেরে পার পেয়ে যায় প্রতিবাদহীনভাবে, যে দেশের ওপর আরেকটি প্রতিবেশি দেশ যখন তখন মর্টার শেল নিক্ষেপ করতে পারে, সেই দেশ জাতিসংঘের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পার পেয়ে যাবে এটা অসম্ভব। আবার জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কোন স্বাধীন কমিশনের অধীনে তদন্ত হলে গুম-খুনের বিষয়টি অস্বীকার করার কোন সুযোগও যে থাকবে না এই সরকারের সেটা নিশ্চিত।
তাই বাংলাদেশে গুম-খুনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা যে রেহাই পাচ্ছেন না এটা অনেকটা পরিস্কার।
একটা সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় ক্ষমতায় থাকার জন্য দেওয়া অন্যায় নির্দেশ মেনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে সব সদস্যরা গুম-খুনের মতো জঘন্যতম কাজে যুক্ত হয়েছেন ও হচ্ছেন, তারা মূলত নিজের জন্য কবর খুড়েছেন বা খুড়ছেন। অথচ তারা সরকারের এ অন্যায় নির্দেশ মানতে বাধ্য নন। তারা তো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, জনগণের সেবক।