দীর্ঘদিন থেকে চলছে রাশিয়া – উক্রেন এর মধ্যকার যুদ্ধ এর মধ্যে ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে সীমানাভুক্ত করায় রাশিয়ার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশসহ ১৪৩টি দেশ। তবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত, পাকিস্তান, চীনসহ ৩৫টি দেশ। আর এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে উত্তর কোরিয়া-সিরিয়াসহ মোট পাঁচ দেশ।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইউক্রেন ইস্যুতে একাদশ জরুরি অধিবেশনে রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। ‘ইউক্রেনের টেরিটোরিয়াল ইন্টিগ্রিটি: ডিফেন্ডিং দ্য প্রিন্সিপলস অব দ্য ইউএন সনদ’ শিরোনামে জাতিসংঘের প্রস্তাবে বাংলাদেশের এই ভোটের ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা।
গত ১০ অক্টোবর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত তার বক্তব্যে রুশ-বিরোধী অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের টেরিটোরিয়াল ইন্টিগ্রিটি: ডিফেন্ডিং দ্য প্রিন্সিপলস অব দ্য ইউএন সনদ’ শিরোনামের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। আমরা এটা করেছি কারণ আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির বিষয়ে জাতিসংঘের সনদের উদ্দেশ্য ও নীতিগুলি ব্যতিক্রম ছাড়াই সকলকে, সর্বত্র মেনে চলতে হবে।’
‘আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে সম্মান করা উচিত। এই প্রেক্ষাপটে, আমরা বিশেষ করে ইসরায়েলের ফিলিস্তিন এবং অন্যান্য আরব ভূমি দখলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনুরূপ অবস্থান নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের সংঘাত অব্যাহত রাখা এবং এর বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক প্রভাব নিয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, যুদ্ধ বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার মতো বৈরিতা কোনো জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। সংলাপ, আলোচনা এবং মধ্যস্থতাই সংকট ও বিরোধ নিরসনের সর্বোত্তম উপায়।’
“বহুপাক্ষিকতায় দৃঢ় বিশ্বাসী হিসেবে, আমরা জাতিসংঘ এবং এসজি অফিসের পাশে দাঁড়াবো এবং আমাদের সাধ্যমত তাদের সমর্থন করব।” আমরা আহ্বান জানাই যে জাতিসংঘ এবং এসজি অফিস সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয় এবং সর্বস্তরের জনগণের আস্থা ও আস্থা অর্জনের জন্য সকলের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে।
বাংলাদেশ তাই বিরোধের সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব বিরোধ নিষ্পত্তিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করার এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার এবং অবিলম্বে কূটনৈতিক সংলাপ পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানায়।’
“আমাদের যুদ্ধের অবসান এবং মানবজাতির মঙ্গলের জন্য অস্ত্র প্রতিযোগিতার অবসানের জন্য কাজ করা উচিত। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে, আমাদের অবশ্যই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য একসাথে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটের ব্যাখ্যা দেয়।
উল্লেখ্য, রাশিয়া এবং উক্রেন এর মধ্যকার যুদ্ধ চলমান রয়েছে ফলে সারা বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব রয়েছে এবং দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত এটি বেড়েই চলেছে তবে এরমধ্যে ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে সীমানাভুক্ত করেছে রাশিয়া যা নিয়ে ব্যাপক নিন্দা ছড়িয়েছে।