বাংলাদেশের ক্রিকেটের বেহাল দশা নিয়ে অনেকে নানা মন্তব্য করছেন বিশেষ করে দেখা গিয়েছে প্রবাসী যারা রয়েছেন তাদের মধ্যেও বাংলাদেশ এর ক্রিকেটকে নিয়ে আবেগ অনুভূতি রয়েছে। তবে সম্প্রতি প্রবাসীদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা এবং সেখানে তারা বিরূপ আচরণ করেছেন বলে জানা গেছে
ক্রিকেটের প্রতি বাঙালির আবেগ সবসময়ই বেশি। এটা প্রবাসীদের জন্য বেশি। সেই আবেগে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা ক্রিকেটারদের নিয়ে নৈশভোজের আয়োজন করেন। আয়োজক ছিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিসবেন (বিএবি)। কিন্তু সৌজন্য অনুষ্ঠান ক্রিকেটার ও ভক্তদের মধ্যে তিক্ততা ছড়িয়েছে।
আয়োজকদের অভিযোগ, ব্রিসবেনের ভিক্টরি চার্চ বেলবার্ড পার্কে অনুষ্ঠানে এসে কয়েকজন ক্রিকেটার তাদের অপমান করেন। সাকিবের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছে আয়োজকরা। তার আচরণে তারা হতবাক ও বিব্রত।
বিএবি সভাপতি শেখ বাশার উদ্দিন বলেন, প্রবাসীদের সামনে আমাদের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের আচরণ ছিল হতাশাজনক।
দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ব্রিসবেনে থাকাকালীন বাংলাদেশ দলকে স্বাগত জানাতে এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমোদন নিয়েছিল। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে পরিস্থিতি বিব্রতকর হয়ে ওঠে।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, দলগতভাবে এবং ব্যক্তিগতভাবে ক্রিকেটারদের স্বাক্ষর নিতে অনুষ্ঠানে অটোগ্রাফ ব্যাট রাখা হয়। তবে দলের অন্য সবাই ব্যাটে সই করলেও সাকিব কোনো ব্যাটে সই করেননি। এমনকি আলোচনা পর্বে তিনি শুধু ‘ধন্যবাদ’ বলে বক্তব্য শেষ করেন। টাইগার অধিনায়কের এমন আচরণে অপমানিত বোধ করছেন আয়োজকরা।
একজন ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি যিশু দাস গুপ্ত বলেন, ‘আমরা যেহেতু অনেক দূরে আছি, তাই ক্রিকেটারদের প্রতি আমাদের আবেগ আছে। তাদের এটা মূল্যায়ন করা উচিত ছিল। আমাদের তরুণ প্রজন্মও ছিল সেখানে। কিন্তু তারা দেখেছেন নেতৃত্ব কেমন হয়।
আরেক সংগঠক ফারুক রাজা বলেন, ‘ক্রিকেট দলের কাছ থেকে যে চিকিৎসা পেয়েছি তা দুঃখজনক। আমরা ক্রিকেট দলের কাছ থেকে আরও স্বতঃস্ফূর্ততা আশা করেছিলাম। কিন্তু আমি তা পাইনি।’ তিনি অবশ্য যোগ করেছেন, ‘আমরা জিতলে বা হারলেও আমরা ক্রিকেট দলের পক্ষে।’
বিষয়টি স্বীকার করলেও বাংলাদেশ দলের বক্তব্য ভিন্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির এক কর্মকর্তা বলেন, অনুষ্ঠানের আগে আয়োজকরা তাদের কর্মসূচি সম্পর্কে দলকে জানাননি। হঠাৎ এসব করতে বলায় বিব্রতবোধ করছেন ক্রিকেটাররা। আগামীকাল মেলবোর্ন হয়ে হোবার্টে আসবেন ক্রিকেটাররা। আগের দিন এত কিছু করার মেজাজে ছিল না তারা। এ ছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে অনুষ্ঠানের জন্য অনুদান সংগ্রহ করছেন সে বিষয়টিও দলটির পক্ষ থেকে জানা ছিল না। ক্রিকেটাররাও ভালোভাবে নেননি।’
জানা যায়, বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নৈশভোজে অংশগ্রহণের জন্য ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের কাছ থেকে ২০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কাছ থেকে ৪০ ডলার নেওয়া হয়। সেখানে প্রায় দেড় শতাধিক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকদের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা এই আয়োজনের জন্য বিসিবির শীর্ষ পর্যায় থেকে অনুমতি নিয়েছেন। দলের কেউ কেউ অনুষ্ঠানে যেতে আপত্তি করলেও পরে যেতে হয় সাকিবসহ সবাইকে।
উল্লেখ্যঃ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান তিনি বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের বোরো বিজ্ঞপন। তবে তার নেতিবাচক আচরণের কারণে প্রায় সময় তিনি নানা আলোচনা সমালোচনা কুড়িয়ে থাকেন।