ভারতের শিলংয়ে দীর্ঘদিন নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। মূলত তাকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটকে রাখা হয়েছিল। এদিকে ভারতের একটি আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে দেশে ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে, যিনি আট বছর আগে মেঘালয়ে অবৈধ প্রবেশের জন্য আটক ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের আপিল আদালত এই নির্দেশ দেন। তবে কবে নাগাদ তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আদালত আমাকে আগেই খালাস দিয়েছেন। পরে এদেশের সরকার তার বিরুদ্ধে আপিল করে। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের রায়েও আদালত আমাকে খালাস দিয়েছেন। আদালত ভারত সরকারকে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
কবে দেশে ফিরতে পারবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজই দেশে ফিরতে চাই। আমি বাড়ি ফিরতে উদগ্রীব। আদালতের নির্দেশনা মেনে ভারত সরকার কবে ফেরত পাঠাবে তা দেখার অপেক্ষায় আছি।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ১১ মে, তিনি নিখোঁজ হওয়ার ৬৩ দিন পর, ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ের স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধার করে এবং তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে বিদেশি আইনে মেঘালয় থানা তাকে গ্রেপ্তার করেছে। একই বছরের ২২শে জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগ গঠন করা হয়।