বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ মানুষ বিদেশে গিয়ে থাকে তবে প্রবাস থেকে বাংলাদেশে গত ৫ বছরে ৭১৪ জন বাংলাদেশি অভিবাসী নারীর লাশ এসেছে যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক আব্দুল হাই সঞ্জু। নিচে সেটি তুলে ধরা হল-
বাংলাদেশে গত ৫ বছরে ৭১৪ জন বাংলাদেশি অভিবাসী নারীর লাশ এসেছে। তাঁদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৮ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের কথা। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, যেসব অভিবাসী নারী লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন, তাঁরা সুস্থ অবস্থায় বিদেশে গিয়েছিলেন। অথচ প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি লাশ বিদেশ থেকে আসছে।
শ্রমিকদের বিদেশ যাওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। তাঁদের বড় বা জটিল কোনো রোগ থাকলে স্বাস্থ্য পরীক্ষাতেই বাদ যাওয়ার কথা। তাই মৃত্যুর সনদে থাকা ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ নিয়ে সন্দেহ করছেন মারা যাওয়া শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা।
মন্তব্যঃ
১) বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলে প্রশবিদ্ধ। একারণে বিদেশে বাংলাদেশিদের মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার হওয়ার নৈতিক মনোবল বাংলাদেশের নাই।
২)’জনশক্তি’ শব্দের সাথে যতদিন ‘রফতানি’ শব্দ ব্যবহার হবে, ততদিন মানুষের মর্যাদা বাড়বে না। পণ্যের মতো যেসব দেশ মানুষ রফতানি করে আর আমদানি করে, সেসব দেশে মানুষ মানবিক মর্যাদা কীভাবে পাবে?
৩)ইউরোপ/আমেরিকার দেশ কখনও জনশক্তি আমদানি করেনা। কেউ রপ্তানি করতে চাইলেও গ্রহণ করেনা। উন্নত দেশের নীতি অন্য রকম।
একটা উদাহরণ দেয়া যাকঃ
ব্রিটেনে এই মুহূর্তে অনেক নার্স লাগবে। ব্রিটেন চাইলে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ নার্স নিয়ে এসে আরও কিছু প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগিয়ে দিতে পারে। কিন্তু ব্রিটেন নিজ উদ্যোগে এই কাজ করবেনা। কারণ ব্রিটেন জানে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এবং প্রয়োজনের তুলনায় নার্সের সংখ্যা এখনও কম। তাই বাংলাদেশ থেকে নার্স আমদানী করা স্বার্থপরতা এবং অমানবিক হবে। একজন দক্ষ নার্স নিজ উদ্যোগে আবেদন করে ব্রিটেন আসতে চাইলে তাতে ব্রিটেন বাধা দেবেনা। কিন্তু নিজেরা গিয়ে বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করে আনবে না।