বর্তমানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসকে নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে বিষয়ে করে অভিনেত্রী বাবলির সাথে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটার যুদ্ধ চলছে এমনটা দেখা যাচ্ছে এছাড়া নানা বিষয় নিয়ে তিনি আলোচনা সমালোচনায় রয়েছেন। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা মিলি সুলতানা। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
ছোটবেলায় নানি ও আম্মার মুখে রূপকথার চমকপ্রদ সব গল্প শুনতাম। রূপকথার গল্প নিয়ে বই পড়তাম। সেখানে সুয়োরানী দুয়োরানীর সাপে নেউলে লড়াই দেখতাম। সিনেমায় শাবানা ববিতার কোনো সতীন দেখলে তাদেরকে মনে মনে তিরস্কার করতাম। সতীন মানেই কুটচালে অভ্যস্ত খল চরিত্র। উন্মুখ হয়ে থাকতাম, কখন সতীন নামের অপছন্দের মহিলাকে নায়িকা বা নায়কের পক্ষ থেকে পানিশমেন্ট দেয়া হবে। কখন সতীনের পতন দেখে ফুরফুরে মন নিয়ে সিনেমাহল থেকে বের হব। সেই সতীন যুগ বর্তমানে বাস্তব জগতে পুনর্বাসিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে শবনম বুবলি হলেন ভারতীয় দুই জাঁদরেল খল অভিনেত্রী বিন্দু আর শশীকলার নতুন সংস্করণ অর্থাৎ সুপার পাওয়ার প্যাক। অপু বিশ্বাসের স্বামীকে ছিনতাই করে বুবলি নিজেই তার অসৎ উদ্দেশ্যকে প্রতিষ্ঠিত করলেন। অপু বিশ্বাসের দুঃসময়ে আমরা বুবলিকে অপুর কাটা ঘায়ে লবণ দিতে দেখেছি। বুবলির কয়েকটি লেখায় অপুর বিরুদ্ধে তার মনের আক্রোশ প্রকাশ পেয়েছিল।
শবনম বুবলি ফেসবুকে অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে “এলান-এ-জং” ঘোষণা করেছেন। অপুর বিরুদ্ধে বুবলি তার টাইমলাইনে অনেক বড় একটা “গরু রচনা” লিখে ফেলেছেন। যার উপসংহার হল- শাবানা নুসরাত ফারিয়া বর্ষা মালেক আফসারিদের সিমপ্যাথাইজার হিসেবে পাওয়ার হাস্যকর অভিপ্রায়ে অপুকে সমানে আক্রমণ ও কটাক্ষ করা। আবার কোর্ট কাচারি করার হুমকিও দিলেন। বুবলি একবারও ভাবেননি অপু তার ডার্টি কনস্পিরেসির জেনুইন ভিকটিম!! আমরা তখন দেখেছি অপু বিশ্বাসের অসহায়ত্ব। দুর্দিনে তার পাশে সেদিন কাউকে দেখা যায়নি।
বুবলি তার কূটনৈতিক বুদ্ধি খাটিয়ে বরেণ্য অভিনেত্রী শাবানাকে টেনে এনেছেন। শাবানার বিষয়ে বলব, শাবানাকে দেখলে মনে হয় তিনি সবার অতি কাছের পরম আপনজন। স্নেহ ভালোবাসা ঢেলে দেন সবার জন্য। ছেলে জয়কে নিয়ে অসহায় অপু বিশ্বাস তখন হয়ত শাবানার সাথে দেখা করে মনের কষ্ট হালকা করতে চেয়েছেন। ছেলে জয় যেন তার বাবার আদর থেকে বঞ্চিত না হয়। অপু হয়ত ভেবেছিলেন, শাবানার কাছ থেকে অভিভাবকের মত পরামর্শ পাবেন। তার এই ভাবনা দোষের নয়। কিন্তু সেদিন শাবানার বাসায় অপু ঢুকতে পারেননি। হয়ত সত্যিই শাবানা বাসায় ছিলেন না। আর হয়তোবা শাবানা সেদিন শাকিব খান নিয়ে বিব্রত হতে চাননি। তিনি হয়ত অনেককিছু ভেবে অপুর সাথে দেখা করেননি। যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে শাবানার বক্তব্য আমরা শুনেছি। এখানে আমি শাবানাকে উচিত অনুচিতের নিক্তিতে মাপতে চাইনা। ব্যাপারটা বেনিফিট অব ডাউটে থাকুক। যে যেভাবে বুঝতে চান বুঝে নিয়েন।
এবার আসছি অপু বিশ্বাসের অনুচিত দিকগুলো প্রসঙ্গে। অনন্ত জলিলের বউ বর্ষা একটি চ্যানেল খুলে তার শখের রান্নাবান্নার কনটেন্ট শেয়ার করেছেন। এটা অপু বিশ্বাসের ফাজলামোর উপকরণ হবে কেন? বর্ষা তো কাউকে গালিগালাজ করছেন না। তিনি যদি দশ আঙুলে কুড়িটি হীরের আংটি পরেন সেটা উনার ব্যাপার। অনন্ত জলিলের টাকা আছে। বর্ষা তার স্বামীর টাকা দিয়ে হীরে জহরত পরবেন। আমার প্রশ্ন, অপু বিশ্বাস বর্ষার মিমিক্রি করবেন কেন? সাংঘাতিক বিরক্তিকর আচরণ করেছেন অপু। এভাবে তিনি কতটা নিচে নেমেছেন সেই আন্দাজ তার আছে? নুসরাত ফারিয়া জনপ্রিয় নায়িকা। তিনি স্টাইল করে কথা বললে অপুর গা জ্বলার কারণ কি? নুসরাত ফারিয়াকে বিদ্রুপ করার দায়িত্ব অপুকেই কেন নিতে হবে? ব্যক্তিত্ব ধরে রাখার উপায় যদি অপু না জানেন সেটা তার ইমেজের জন্য অবশ্যই ক্ষতির কারণ হবে। অপুর শিক্ষা নেয়া উচিত বর্ষা কিন্তু তার নিজের কাজ করছেন।