এবার গাইবান্ধায় দেখা গেল উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেচে এবং সেই কারনে অনিয়মের অভিযোগের কারনে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার সকালে নির্বাচন কমিশন ভবনে গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন
ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনে ৪৬টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কেন্দ্রে অনিয়মকারীরা ভোট ডাকাত।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে নির্বাচন কমিশন ভবনে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সিসিটিভি ক্যামেরায় সরাসরি নির্বাচন মনিটরিং করছি। আমরা এখন পর্যন্ত ৪৬টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
কেন ৪৬টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হলো সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনিটরে যা দেখছি তা ব্যাপক অনিয়ম। বিশেষ করে ভোটার ছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশ বা আইন অমান্য করে ভোট দেওয়ার ঘটনা আমরা সরাসরি দেখেছি।
সিইসি বলেন, অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না তা আমরা বিশ্লেষণ করব। কিন্তু আমরা যা দেখেছি তাই করেছি। অর্থাৎ আমরা ভোট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
নির্বাচন ঠেকানোর সিদ্ধান্ত নেবেন কি না অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দেখছি, শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেব।
যারা ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ভোট দেয় তাদের সম্পর্কে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন- আপনি যে ডাকাত বলেছেন, তারা কী ডাকাত? আমাদের সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। নির্বাচনের সংস্কৃতি পাল্টাতে হবে, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। তার না ফেরার দেশে যাওয়াতে তার আসনটি শূন্য হয় এবং সেখানে বর্তমানে ভোটগ্রহণ চলছে।