গতরাতে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স। দুই দলের লড়াই এর মধ্যে দিয়ে অবশেষে পর্দা নেমেছে এবারের বিশ্ব ফুটবলের এই আসরের। এবং ফাইনালে শেষ হাসি হেসেছে আর্জেন্টিনা।তবে বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়ের পর রাত পার হওয়ার আগেই নতুন বিতর্কে জড়ালেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়ের মঞ্চে লিওনেল মেসির টাইব্রেকারে পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক হয়ে যান মার্টিনেজ। তার গ্লাভসেই শেষ পর্যন্ত আটকে যায় ফ্রান্স। ম্যাচ শেষে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন মার্টিনেজ। বিশ্ব ফুটবলে উন্মাদনা।
কিন্তু মার্টিনেজের কারণেই ফাইনালে উঠতে পেরেছে আর্জেন্টিনা। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স বারবার বিরোধীদের হার মানিয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ম্যাচ জেতাই হোক, কিংবা দুরন্ত গতিতে ফিল্ড গোল বাঁচানো- নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মার্টিনেজ। যার কারণে টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক হিসেবে গোল্ডেন গ্লাভস জিতেছেন তিনি। কিন্তু সেই গ্লাভস দিয়ে অশ্লীল পোজ দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন মার্টিনেজ।
স্টেডিয়ামে এবং টিভিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ গোল্ডেন গ্লাভ বিজয়ী মার্টিনেজকে উদযাপনের নামে তার ব্যক্তিগত স্পর্শ করে একটি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। ভালোভাবে নিতে পারেনি ফুটবল বিশ্ব। মার্টিনেজের এমন কুরুচিপূর্ণ কাজের জন্য সবাই সমালোচনা করছেন।
তবে লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত মার্টিনেজ। এসব বিতর্ক নিয়ে তিনি মোটেও মাথা ঘামান না। টাইব্রেকারে পেনাল্টি বাঁচানোর আসল রহস্যও খুলে দিলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি পেনাল্টির সময় মাথা ঠান্ডা রেখেছিলাম। ম্যাচে ৩টি শটে রান করেছে তারা। কিন্তু তার পরেও আমি আমার মাথা ঠান্ডা রেখেছিলাম। আমি জানতাম, আমি যদি শান্ত থাকতে পারি তবে আমি এটিকে বাঁচাব।
সেই সঙ্গে মার্টিনেজ যোগ করেন, ‘আমি খুবই দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছি। এই জয়টা আমি আমার পরিবারকে উৎসর্গ করতে চাই। পুরো পেনাল্টি শুটআউটে আমি শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি। এটাই ছিল আমার কৌশল।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে শেষ হাসিটা হেসেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। শ্বাসরুদ্দকর খেলায় পেনাল্টি শুটউট এর মাদ্ধমে শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নিল স্কোলনির সতীর্থরা। গোল্ডেন বল পেয়েছেন মেসি এবং বুট পেয়েছেন এমবাপ্পে