ঢাকায় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির রাজনীতিতে আসার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তবে তার মনোনয়ন এর বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাশান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী যে কেউ মনোনয়ন চাইতে পারেন। সেক্ষেত্রে অভিনেতা-নায়িকা চাইলে সেটা অপরাধ নয়। প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের মিডিয়া জগতের অনেক মানুষকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দেওয়ানজী পুকুরপাড়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, অবশ্যই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে যারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, তাদের সব সময় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এছাড়া দলকে আরও অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আসলে বিএনপি-জামায়াত গণমিছিলের নামে ঢাকা মহানগরীতে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। কিন্তু শহরজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপির প্রধান মিত্র জামায়াতে ইসলামী। পুলিশ বাহিনীর ধৈর্যের কারণে তারা সেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি।
ডা: হাসান বলেন, তাদের রাজনীতি একই জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছে। দেশের মানুষ তা হতে দেবে না। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য নানা কর্মসূচি দিয়েছে। তাদের কর্মীরা যেভাবে আশা করেছিল সেভাবে অনুষ্ঠানটি হয়নি। তাদের রাজনীতি একই জায়গায়। তারা ১০ ডিসেম্বর গাড়িতে আগুনও দিয়েছে। সুযোগ পেলে এখনও একই কাজ করবে। তারা সেখান থেকে সরে যেতে পারেনি। তাদের উদ্দেশ্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।
উল্লেখ্য, অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি তার প্রথম স্বামী অপুর সাথে বিচ্ছেদ এর পর গাজীপুরের রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব এবং ব্যাবসায়ী রাকিব সরকারকে বিয়ে করেছেন এবং বর্তমানে এই অভিনেত্রী নিজেকে রাজনীতিতে যুক্ত করছেন।