এবারের কাতার বিশ্বকাপ শুরু থেকেই নানা বিতর্কের মুখে রয়েছে। দেশটির ধর্মীয় অনুশাসন এবং সংস্কৃতি মানতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে বিশ্বকাপের দর্শকরা। এদিকে বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকেই বেশ কিছু বিতর্কে জড়িয়েছে কাতার প্রশাসন। মানবাধিকার লঙ্ঘন, বি’য়ার বিক্রিতে নিষে’ধা’জ্ঞা,, প্রেমের উপর নিষেধাজ্ঞা, অবিবাহিত দম্পতিদের একসাথে থাকার উপর নিষেধাজ্ঞা। বেশি খোলামেলা পেশাক পরায় বা’ধা দেওয়াসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে
এই নিয়ে প্রতিবার করেছে পাশ্চাত্যের সমর্থকরা তবে সেই প্রতিবাদে কর্ণপাত করেননি আয়োজকরা। নিয়ম বহাল থাকে। এবার সেই নিয়ম না মানায় বি’পাক পড়তে যাচ্ছেন এক ক্রোয়েশিয়া সমর্থক। কাতারি প্রশাসন ইভানা নোল নামের ওই সমর্থককে তার স্বল্প পরিহিত পোশাকের জন্য গ্রেফতার করতে যাচ্ছে।
তবে একদিনে যখন তার মাথায় গ্রেফতারের খাঁড়া ঝুলছে সেই সময় তিনি সরকারের বি’রু’দ্ধে যাওয়ার জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন। পাশাপাশি জুটিয়েছে সে’ক্সি চিয়ারলিডারের তকমা। ইভানা আলোচনা আসেন যখন বিশ্বকাপের আগে হায়া কার্ড নিয়ে কাতার সরকারের নিন্দা করেন।
এই হায়া কার্ড থাকলেই তিনি বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে পারবেন। কিন্তু ইভানার পরিচিত অনেকেই তা পাননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়, ইভানার প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে ক্রোয়েশিয়া জুড়ে। সেখান থেকে বিশ্বের বাকি ভক্তরাও বিষয়টি জেনে আওয়াজ তুলেছেন।
এমনকি ইভানার প্রতিবাদও ঠিক ছিল। তিনি ক্রোয়েশিয়ান পতাকার ডিজাইনের পোশাক পরে কাতারে অনুশীলন করতে এসেছিলেন। পোষাক ছিল খুব টাইট এবং তার বক্ষ বি’ভা’জি’কা দেখায়. ইভানা ক্রোয়েশিয়া বনাম মরক্কো ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন।
সেখানে তিনি গ্যালারি থেকে ভিডিও করেন এবং গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন। যা ভাইরাল হয়ে যায়। কাতারি প্রশাসনের চোখে তার এই ছবি দেখতে দেরি হয়নি। ফলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে কাতার প্রশাসন। তার শাস্তি জেল হতে পারে। যদিও ইভানা শাস্তিকে ভয় পায় না।
কাতারে পরের ম্যাচেও একই পোশাক পরবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের স্ত্রী ও বান্ধবীদের বলা হয়েছে কাতারে স্কিমি পোশাক বা লো-কাট টপ না পরতে। এছাড়াও, ফিফা ভক্তদের কাঁধ উন্মুক্ত করে এমন কোনো পোশাক না পরতে বলেছে।
উল্লেখ্য, এবারের বিশ্বকাপে স্বল্প পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন কাতারের প্রশাসন সেই সাথে দেখা গিয়েছে আরো নানা বিষয়ের উপর দেশটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।