বাংলাদেশের বর্তমান অবশিষ্ট গ্যাস মজুত প্রায় ১৩ টিসিএফ যা প্রেট্রোবাংলার হিসাব থেকে যা গিয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাস চাহিদার প্রেক্ষাপটে এই মজুত দিয়ে আরো কিছু বছর চলতে পারবে দেশ তবে শোনা যাচ্ছে শিগ্রই গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে আসছে। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক আরিফুজ্জামান তুহিন। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
৩০ বছরের মজুত থাকার
পরও বলা হচ্ছে দেশ গ্যাসশূন্য
নিচের ডেটাগুলো নিশ্চিত করছে যে, বাংলাদেশে এখনো ৩০ বছরের ওপরে গ্যাসের মজুত রয়েছে। অথচ জোরেসোরে বলা হচ্ছে দেশগ্যাসশূন্য।
এর কারণ কী হতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলএনজি বাণিজ্যি, তার লোকাল এজেন্ট নানান ধরনের কমিশনের কারণে দেশীয় গ্যাস উত্তোলনে আগ্রহ কম।
অনাবিষ্কৃত গ্যাসের মজুদ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও ভোলা এলাকায়: ৬.১-১৯ টিসিএফ গ্যাস মিলবে
সিলেট (সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট): ১.৮-৮.১ টিসিএফ
তিন পার্বত্য জেলা (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবনে): ০.২-০.৫ টিসিএফ
খুলনা থেকে পাবনা-সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত: ০.৫-২.৯ টিসিএফ
সমুদ্রে: ০.৫-১.৮ টিসিএফ
সূত্র: ইউএসজিএস ও পেট্রোবাংলার যৌথ জরিপ
৪২ টিসিএফ পাওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ, ১৮.৫ টিসিএফ পাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ: নরওয়ের এনপিডি ও বাংলাদেশের হাইড্রোকার্বন ইউনিট
৩৪ টিসিএফ গ্যাসের মজুদ: গুস্তাভান, যুক্তরাষ্ট্র
৩৪ টিসিএফ: র্যাম্বল, ডেনমার্ক
তথ্যসূত্র: পেট্রোবাংলা
১ লাখ ৫৬ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে
৫০ বছরে ১০৪টি অনুসন্ধান কূপ ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার (কুতুবদিয়া ও মোবারকপুর বাণিজ্যিক গ্যাস নেই এমন দাবিতে পরিত্যাক্ত ঘোষনা)
১০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের ভারতের ত্রিপুরায় ১৫০টি কূপ খনন করে ৯টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার
তথ্যসূত্র: জিওসায়েন্স ফর সোসাইটি অ্যান্ড সাসটাইনবেল ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ গ্রন্থ