বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে কেন্দ্র করে নানা আলোচনা উঠেছে।প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগে নয়াদিল্লি সূত্র বলছে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। প্রতিবেশী বলয়ে বাংলাদেশই ভারতের কাছে ভূকৌশল এবং ভূ-অর্থনীতিতে ঘনিষ্ঠতম রাষ্ট্র। সোমবার সকালে এক প্রতিবেদনে এসব লেখা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি সূত্র বলছে, ভারতের মোট উন্নয়নের সহযোগিতার ২৫ শতাংশ শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্যই বরাদ্দ হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ প্রশ্নে কোনো ‘ধীরে চলো’ নীতিতে বিশ্বাসী নয় নয়াদিল্লি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলছেন, গত এক বছরে আমরা আমাদের লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) সব চেয়ে বেশি ছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। কোনো দেশের নাম না করেই বলতে চাই, এত দ্রুত কম সুদে (বছরে ১ শতাংশ) ঋণ, কেউ বাংলাদেশকে দেয়নি। জানানো হচ্ছে, ভারত তার ঋণের ১ বিলিয়ন ডলার ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছে।
এতে আরও বলা হচ্ছে— চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ভারত ব্যবহার করতে পারায় এক দিকে যেমন ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলোর বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বাড়বে, উপকৃত হবে ঢাকাও। তাদের উৎপাদন এবং রপ্তানি ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে লক্ষ্যণীয় রকম বাড়বে বলে আশা করে ভারত।
ভারতের হিসাব, ২০১০ সালে বাংলাদশের উন্নয়নে ভারতের সহায়তার মোট পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি ডলার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় হাজার ডলারের কাছাকাছি।
উল্লেখ্য, এবারের ভারত সফরের বিষয়ে নানা প্রত্যাশা রয়েছে এবং এই সফরে তিস্তা চুক্তি সহ জ্বালানী তেলের বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে এমনটি বলছেন অনেকে। ইতিমধ্যে ভারতে পৌছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা