এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তা টুটুলের সঙ্গে
এক শিক্ষার্থীর ফোনালাপ এই নিয়ে দেখা যাচ্ছে নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে এবং জানা গেছে এই ব্যাক্তি এর আগেও বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সাথে সম্পর্ক করেছেন।
কথোপকথনের অডিও ক্লিপটি মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ‘ইবিআইআর নিউজ’ নামের আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। ফোনকলটি প্রকাশের পরপরই ভাইরাল হয়ে যায়।
ভাইরাল হওয়া ৬ মিনিট ২১ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আলীমুজ্জামান টুটুলের বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে অডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অডিওতে টুটুল ছাত্রের কাছে আপত্তিকর ছবি চেয়ে বলেন, ‘আমি যখন যা চাইব সেভাবে করবা, এটাই আমার অনুরোধ। এখন দুটি ছবি দাও, যেমন অবস্থায় আছো তুমি। তোমার সাজগোজের কিচ্ছু করার দরকার নাই। তোমার বন্ধুকে একটা ছবি দিবা, ছবি দেখে বন্ধু খুশি হবে। একদম বোরকা-মোরকা পরে ঢেকেঢুকে ছবি দিলে তো কোনো লাভ নাই। খুশি করার মতো ছবি দিবা।’ এছাড়া তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, ‘একটা ছবি চাইলাম, ছবি পাইলাম না, মনের কষ্ট থেকে গেলো।’
টুটুল ওই ছাত্রকে চাকরির প্রলোভন দিয়ে বলেন, তুমি যেদিন বলবে আমি পাশ করেছি, আমাকে চাকরি দাও। সেদিন থেকে খুব তাড়াতাড়ি (দুই মাসের মধ্যে) চাকরি দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। তোমার কাজ হয়ে যাবে, এ পর্যন্ত ৬ থেকে ৭ জনকে চাকরি দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলব এটি আপনার জন্য একটি বড় সমর্থন। আমার মত পাগল মানুষ তোমার জীবনের পাশে।
ভাইরাল হওয়া অডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে, পুরস্কারের লোভে টুটুল বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এদিকে অডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে আলাপচারিতার বিষয়ে জানতে আলিমুজ্জামান টুটুলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালে কুষ্টিয়ার একাধিক ছাত্রীসহ একাধিক নারীর সঙ্গে মেলামেশা ও ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন টুটুল। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। এবারেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল এবং এই নিয়ে চলেছে নানা আলোচনা সমালোচনা।