বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন আসন্ন রয়েছে এবং এই নির্বাচন নিয়ে এখন থেকে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বিভিন্ন দলগুলো এবং নির্বাচন কমিশন ও সম্প্রতি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে দিয়েছে তবে এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে নানা মিশ্র প্রতিক্রি রয়েছে অনেকের মধ্যে এই প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে লেখক-বিশ্লেষক শামসুল আলম
নির্বাচন কমিশন ডিসি/এসপি-দেরকে ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেখানে তারা সততার স্টান্ডবাজি করতে থাকে। সভায় সিইসি হাবিবুল আউয়াল ডিসি-এসপিদের দলীয় কর্মী-সমর্থক না ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন।
কিন্তু নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমানের বক্তব্যের জের ধরে মাঠ প্রশাসনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উল্টো বার্তা পেয়েছেন সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির কর্তারা। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই ছিল মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে বর্তমান কমিশনের প্রথম বৈঠক।
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে জনমনে সৃষ্ট আস্থাহীনতার জন্য ডিসি-এসপিদের ওপর সরাসরি দায় চাপাতে গিয়েছিলেন সাবেক এই সচিব। তার বক্তব্যের এই পর্যায়ে সভাকক্ষের মধ্যেই একযোগে ডিসি-এসপিরা হইচই শুরু করেন৷ এ সময় সিইসিসহ অন্য কমিশনার এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবও মঞ্চে ছিলেন৷ এ পর্যায়ে কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, ‘‘তাহলে কি আপনারা আমার বক্তব্য শুনতে চান না?’’ তখন সবাই একযোগে ‘না’ বললে নিজের বক্তব্য শেষ না করেই বসে পড়েন ইসি আনিস৷মাঠ প্রশাসনের এই আচরণে অনেকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় তাঁর সহকর্মীরাও, অনুষ্ঠানের বাকি সময়টা কাটিয়েছেন বেশ অস্বস্তিতে। আনিসুর রহমান এই সরকারের সময়ে জ্বালানি সচিব হিসেবে অবসরে যান, এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় তাকে বাকী ৫ জনের সাথে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনের আজকের এই সভায় একটা শক্ত মেসেজ আছে: নির্বাচন কমিশন বা সরকার যার নির্দেশে, আস্কারায়, বা টাকা খেয়ে হোক, দিনে বা রাতে ভোট কেটে কাউকে জেতালেও যদি ডিসি/এসপিরা নিজেরা যখন বাটে পড়বে, তখন কিন্তু তারা উল্টে যাবে- সবাইকে ধরিয়ে দিবে।
২০১৪ এবং ১৮ সালের বাটপারী নির্বাচনের সাথে জড়িত রিটার্নিং অফিসার/ প্রিজাইডিং অফিসার/ এপিও/ নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। উপযুক্ত সময় সুযোগ হলে এ দু’টি নির্বাচন অবৈধ ঘোষিত হতে বাধ্য। এর সাথে জড়িতরা ফেঁসে যাবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায়।