বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত ইকমার্স কোম্পানি ইতালির কর্মকান্ড নিয়ে ইতিপূর্বে নানা ঘটনা ঘটেছে তবে সবকিছুর মাঝে গ্রাহক চাইছিল তাদের অর্থ বুঝে পেতে কিন্তু সেখানে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা গিয়েছে অতীতে তবে অবশেষে বহুল আলোচিত ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে প্রথম দফায় ফেরত দেওয়া হচ্ছে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এই ধাপে ইভ্যালির মোট ৪ হাজার ১৪১ জন গ্রাহককে তাদের আটকে রাখা টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ইভ্যালি থেকে তালিকা পেয়েছি। যাচাই-বাছাইও করা হয়েছে। ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচটি গেটওয়েতে ইভ্যালির ২৫ কোটি টাকা আটকে আছে। এই পরিমাণ ছাড় দিতে আমরা গ্রাহকদের একটি তালিকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গেটওয়েতে টাকা ছাড়তে মন্ত্রণালয়ের কী ধরনের অগ্রগতি হয়েছে তা বলতে পারব না।
এর আগে, পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ এবং গ্রাহকদের তালিকা চেয়ে ইভ্যালির কাছে চিঠি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রকের মতে, ইভ্যালি গ্রাহক, বণিক এবং অন্যান্য সংস্থার কাছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এক বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ইভ্যালি চালু হয়। ‘থ্যাঙ্কসগিভিং ফেস্টিভ্যাল’-এর মাধ্যমে ব্যবসায় ফিরেছে কোম্পানিটি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে, ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রাহকদের প্রতারণার একাধিক মামলায় মোহাম্মদ রাসেল এখনও কারাগারে রয়েছেন। তবে গত বছরের এপ্রিলে জামিন পেয়ে কোম্পানির চেয়ারম্যান পদে ফিরে আসেন তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন।