বাংলাদেশে এবং উন্নত বিশ্বের মত ইটপাথর ছাড়াই রাস্তা হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশে এই রাস্তা ব্যবহার করছে তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও এর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) প্রকৌশলীরা বলছেন, এক্রিলিক পলিমার একটি ন্যানোপ্রযুক্তি, যা রাস্তার নির্মাণ খরচ কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। রাস্তার স্থায়ীত্ব বাড়ে, কমে যায় রক্ষণাবেক্ষণের খরচ। দীর্ঘ গবেষণা করেছেন সওজ প্রকৌশলীরা, দু’একমাসের মধ্যে পরীক্ষামূলক সড়ক নির্মাণ শুরু হবে।
গবেষক দলের সদস্যরা বলেছেন, এই পদ্ধতির অধীনে রাস্তা নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণ প্রায় ৭০ শতাংশ দেশেই পাওয়া যায়। নির্মাণে কোন ইট বা পাথরের প্রয়োজন হবে না। রাস্তার উপরিভাগের স্তর তৈরিতে প্লাাস্টিকের পানির বোতল ও পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করা হবে। এই নতুন প্রযুক্তি বাংলাদেশে ইট পোড়ানো উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনবে। কমে যাবে পাথরের আমদানি।
বেশ কয়েকজন অবকাঠামো বিশেষজ্ঞ বলেছেন, কমখরচের পরিবেশবান্ধব এই প্রযুক্তি বাংলাদেশের হাতের নাগালে চলে এসেছে। এই প্রযুক্তিতে দ্রুততম সময়ে বাঁধও নির্মাণ করা যাবে। আর প্রযুক্তিটি ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের মাটি অত্যন্ত উপযুক্ত।
প্রকৌশলীরা জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাস্তা নির্মাণের জন্য এটি একটি বিস্ময়কর প্রযুক্তি হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে। ন্যানোপ্রযুক্তির পণ্য এক্রিলিক পলিমারের মাধ্যমে মাসে ১০০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। প্রতিবেশী ভারত ও ভুটানও সড়ক নির্মাণে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা শুরু করেছে।
তারা জানান, এক্রিলিক পলিমার একটি পানিরোধী পণ্য যা নষ্ট হওয়ার হার খুবই কম। এর মাধ্যমে নির্মিত রাস্তার ভার বহন ক্ষমতাও হবে অনেক বেশি। এটি আমাদের রাস্তাগুলোর স্থায়ীত্ব অন্তত ৫০ বছর বাড়িয়ে দেবে।
সড়ক ও জনপথ ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ন্যানোপ্রযুক্তির কার্যকারিতা ও সম্ভাব্যতা নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করেছে।
সড়ক ও জনপথের প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসেন পাঠান বলেন, আমরা গবেষণার ফলাফল দাপ্তরিক ভাবে গ্রহণ করেছি। সকলের মতামতের ভিত্তিতে আমরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণে যাব। আগামী দু’এক মাসের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে সড়ক নির্মাণ শুরু হবে।
উন্নত বিশ্বের দেশগুলিতে ইটপাথরের বদলে প্লাষ্টিক এর ব্যাবহার করে রাস্তা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে এবং দেখা গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ এই রাস্তা বানিয়েছে। তবে এবার বাংলাদেশেও এই রাস্তা বানানোর পরিকল্পনা করছে