মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সম্প্রতি ঘটেছে গেছে একটি দুঃখজনক ঘটনা, সেখানে এক ইজিবাইক চালককে নাফেরার দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে সাকিব মোল্লা নামের এক ব্যাক্তি। যদিও কি কারনে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা নিয়ে এখনো রয়েছে ধোঁয়াশা।
চাঞ্চল্যকর ইজিবাইক চালক আরশাদের না ফেরার দেশে পাঠানোর মূল পরিকল্পনাকারী ও সাকিবকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-টেন। রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে র্যাব সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০-এর অধিনায়ক (পরিচালক) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, নিহত আরশাদ গত ১ জুলাই বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে যাত্রী পরিবহনের জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। গত ২ জুলাই সিরাজদী খানের পশ্চিম রাজাদিয়া (লালবাড়ী) এলাকা থেকে আরশাদকে উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই আরশাদের স্ত্রী মোছাম্মৎ জিয়াসমিন আক্তার সিরাজদিখান থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। গত ১২ নভেম্বর কামরাঙ্গীরচর খোলামোড়া খেয়া ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ মামলার সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেনা ফেরার দেশে পাঠানোর মূল পরিকল্পনাকারী ও সাকিব মোল্লা ওরফে কায়সারকে (২২) গ্রেফতার করা হয়।
তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কামরাঙ্গীরচরের পূর্ব রসুলপুর গ্রামে অভিযান চালায় অটোরিকশা চোর চক্র শাহ আলমকে (৪২) আটক করা হয়। এ সময় শাহ আলমের কাছ থেকে ৬টি চোরাই অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সাকিব ও শাহ আলম জানান, আরশাদের অটোরিকশাটি তাদের চক্রের আরেক সদস্য মোহাম্মদ রাকিব হোসেনের কাছে বিক্রি করা হয়। এ তথ্যের ভিত্তিতে আজহার ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার বাকুরিয়া পাড়ায় অভিযান চালিয়ে নিহত আরশাদের অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, ধারণা করা হচ্ছে অটোরিকশা বা ইজিবাইক চিন্তায় করতেই এই কর্মকান্ড করা হয়েছে এবং এই ধারণার পিছনেও যথেষ্ট কারন রয়েছে কেননা গ্রেফতারকৃত সাকিব ও শাহ আলম জানান, আরশাদের অটোরিকশাটি তাদের চক্রের আরেক সদস্য মোহাম্মদ রাকিব হোসেনের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।