জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে নানা বিতর্ক শুরু থেকেই হয়ে আসছে এবং এই বিষয়ে অনেকের মাঝে অনেক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে এরই মাঝে ইভিএম বাতিলের কথা শোনা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের ইভিএম প্রকল্প আর্থিক কারণে বাতিল করা হয়নি, জনগণের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার জনগণকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন করতে কাজ করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ডিসি সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমদানি নির্ভরতা কমাতে উৎপাদন বাড়াতে হবে। অপ্রয়োজনীয় খরচের ব্যাপারেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, শুধু চাকরি নয়, জনসেবাও করতে হবে।
গুজব প্রতিরোধ ও পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিংসহ জেলা প্রশাসকদের ২৫ দফা নির্দেশনাও দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১১টা ২৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারী নীতি নির্ধারক এবং জেলা প্রশাসকদের মধ্যে মুখোমুখি মিথস্ক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এই সম্মেলনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ২৪৫টি প্রস্তাব এসেছে। এ বছর সবচেয়ে বেশি প্রস্তাব এসেছে স্বাস্থ্য খাত থেকে। এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ২৩ টি প্রস্তাব রয়েছে। এরপর ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ১৫টি এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ১৩টি, নিরাপত্তা সেবা অধিদপ্তর সংক্রান্ত ১১টি এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ১০টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।
এই সম্মেলনে মোট ২৬ টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সঙ্গে ২০টি কার্য অধিবেশন রয়েছে।
উল্লেখ্য, এবার বাতিল হচ্ছে ইভিএম প্রকল্প। যদিও এই প্রকল্প নিয়ে শুরু থেকেই নানা আলোচনা সমালোচনা বিদ্যমান ছিল তবে এই প্রকল্প বাতিলের কারন হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো।