দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যকার যে বৈরী সম্পর্ক চলছে তা এখনো বিদ্যমান। এদিকে চলমান এই পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকায় অনেকে শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অন্যত্র । ১৩ বছর বয়সী নিকা সেলিভানোভা। তার বান্ধবী ইন্নাকে বিদায় জানিয়ে তিনি ট্রেনে উঠে খেরসন ত্যাগ করেন। এই হৃদয়বিদারক মুহুর্তে দুজনেই চোখের জলে সিক্ত। সম্ভবত এই দুটি শিশু ছাড়ার এমন ব্যথা অনুভব করেনি।
নিকার বাবা-মাও মাতৃভূমি খেরসন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। নিকার মা ইলেনা বলেন, “আগে রাশিয়া দিনে মাত্র ৭ -১০ বার বোমা বর্ষণ করত, এখন দিনে ৭০ -৮০ বার বো*মা ব*র্ষ*ণ করে, যা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।”
ক্রিসমাসের পর হাজার হাজার ইউক্রেনীয় নিকার পরিবারের মতো খেরসন ছেড়ে চলে গেছে। খেরসনের বিভিন্ন চেকপোস্টে গাড়ির লাইনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
কেউ কেউ খেরসন ছেড়ে ইউক্রেনের অন্য শহরে চলে যায়, কেউ কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। ২৪ ফেব্রুয়ারী ইউক্রেনে যুদ্ধের পরে, লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিবেশী পোল্যান্ড, জার্মানি এবং অন্যান্য দেশে চলে গেছে।
এর আগে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসনে বড়দিনে ভয়াবহ বিমান হা*ম*লা চালায়। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে এই হা*ম*লা*য় অন্তত ১১ জন না ফেরার দেশে গেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, রুশ বিমানবাহিনীর হা*ম*লা*য় খেরসনের কেন্দ্রীয় অংশে বেশ কয়েকটি আবাসিক ও প্রশাসনিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।