Thursday, March 23, 2023
বাড়িeducationফারাহ জেবিন' ও ‘মিসেস সালাম নামের দুটি আইডি থেকে পাঁচটি ফোনালাপের অডিও...

ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম নামের দুটি আইডি থেকে পাঁচটি ফোনালাপের অডিও ভাইরাল, কী ছিলো সেই অডিওতে

Ads

সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি নানা নাটকীয়তা তৈরী হচ্ছে। মূলত উপাচার্যের নানা অনিয়মের কথা জানা যায় এই অডিও ফাঁসের মাধ্যমে এবং এই কারনে অডিও ফাঁসের ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের কার্যালয় ও বাসভবনে তল্লাশি চালানো হয়।

সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরাল বডির সদস্যদের নিয়ে পুলিশ এ দুটি স্থানে অভিযান চালালেও সেখান থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপাচার্যের বাসভবন ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এ সময় উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের অনুরোধে ড. তাদের অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়।”

কোথাও কোনো লুকানো ডিভাইস আছে কিনা তা খুঁজে বের করার জন্য অনুসন্ধান করা হয়েছে। এই সময়ে সেখানে ডিভাইস সম্পর্কিত কিছু পাওয়া যায়নি।”

তল্লাশি অভিযানে জড়িত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি আননুর জায়েদ বিপ্লব বলেন, “প্রশাসনের নির্দেশে উপাচার্যের কার্যালয় তল্লাশি করা হয়েছিল, কিন্তু প্রযুক্তিগত কিছু পাওয়া যায়নি।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিস’ নামের দুটি ফেসবুক আইডি থেকে পাঁচটি ফোনালাপের অডিও। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সালাম ভাইরাল হয়েছে। এরপর রবিবার ও সোমবার আল-বিদা ফেসবুক আইডি থেকে আরও দুটি অডিও ফাঁস হয়

সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একটি ‘ভয়েস’কে বলতে শোনা যায় অডিওতে, কথোপকথনেরা অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ, নিয়োগ বোর্ড গঠন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে অডিও ফাঁসের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন ‘শাপলা ফোরাম’ নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

তবে এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম কাল্পনিক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমার স্ত্রীর নামে একাধিক ভুয়া আইডি খোলা হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত কথোপকথন যোগ করা হচ্ছে এবং সেখান থেকে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য মিডিয়াতে মুছে ফেলা হচ্ছে।”

কিন্তু উল্লিখিত নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়নি পরীক্ষার জন্য কোনো প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়নি প্রয়োজনে ইউজিসি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে,” যোগ করেন উপাচার্য।

উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন

এদিকে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে অস্থায়ী কর্মচারী পরিষদ। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয় তালা ঝুলানোর এক ঘণ্টা পর সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা সামনে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপাচার্যের কার্যালয় ও বিক্ষোভ শুরু হয়।

প্রায় তিন ঘণ্টা পর দুপুর দেড়টার দিকে আন্দোলনকারীরা ১৫ মিনিটের জন্য উপাচার্যের কার্যালয়ের তালা খুলে দেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অফিসে ঢুকে তল্লাশি চালায়

অস্থায়ী চাকরি পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান টিটু দাবি করেন, উপাচার্য সবাইকে দুর্নীতি করে নিয়োগ দিচ্ছেন। তিনি কয়েক মাস ক্যাম্পাসে নেই, বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় নিজের বাড়ি তৈরি করছেন তিনি ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে বাজে মন্তব্যও করেছেন তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের আগে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তুলে ফোনালাপের ৩টি অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।

 

Looks like you have blocked notifications!
Ads
[json_importer]
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments