সারাবিশ্বজুড়ে যখন ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনা লেগে আছে সেখানে রাশিয়া কাতার বিশ্বকাপেও খেলতে পারবে না তবে দেখা গেলো ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে ফুটবল মাঠে অস্থিরতা। এমনকি রাশিয়ান কাপের ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে রেফারি ৬ জন খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখান। খেলায় মা_রা_মা_রি_তে লিপ্ত ফুটবলার, ৬টি লাল কার্ডও ঠেকাতে পারেননি রেফারি!
জেনিট সেন্ট পিটার্সবার্গ এবং স্পার্টাক মস্কোর মধ্যকার ম্যাচের উপস্থিতি শুরু থেকেই উজ্জীবিত ছিল। শুরু থেকেই ফাউল করতে থাকেন দুই দলের ফুটবলাররা। তারা প্রতিপক্ষ ফুটবল খেলোয়াড়দের বিশ্রীভাবে মা_র_ছি_ল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বারবার হলুদ কার্ড দিতে হয়েছে রেফারিকে।
তাতেও দুই দলের ফুটবলারদের বাগে আনতে পারেননি। একের পর এক ফাউল ঘিরে বচসা, মা’রা’মা’রিতে জড়িয়ে পড়েন দুদলের ফুটবলার, কোচিং স্টাফরা। প্রায় কুস্তি শুরু হয়ে যায়। এলোপাথাড়ি কিল, চড়, ঘুষি চলতে থাকে। জ়েনিতের উইলমার বরিসের সঙ্গে প্রথম মা’রা’মা’রি শুরু হয় স্পার্টাকের দুই ফুটবলার কুইন্সি প্রোমেস এবং শামার নিকোলসনের।
রেফারি প্রথমে তাদের নামানোর চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয়নি। একের পর এক লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের প্রায় সব ফুটবলার। পরিস্থিতি রেফারির নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। দুই দলের তিনজন করে ছয়জন ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখান তিনি। না খেলা দুই ফুটবলারও মাঠে ঢুকে মারামারি করায় লাল কার্ড দেখেছেন।
কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর রেফারি ম্যাচ বাতিল করেন। উভয় গ্রুপের মোট ৬৫ জন লোক মা_রা_মা_রি_তে জড়িত ছিল। তবে এই ঘটনায় খুব একটা ক্ষুব্ধ হননি ভক্তরা। দুই দলের খেলোয়াড়দের আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন রাশিয়ার ফুটবল ভক্তরা।
ফুটবল মাঠে নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনায় জড়িয়ে যান ফুটবলাররা ,অন্যসময় মেজাজ হারিয়ে নানা কর্মকান্ড করেন ফুটবলাররা। রাশিয়াতেও এবার এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে অনেকেই এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। কেউ বলছেন, রুশ ফুটবলের অন্ধকার দিন। রাশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনও ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। রেফারির প্রতিবেদন ও তদন্ত প্রতিবেদন খতিয়ে দেখে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।