উত্তর কোরিয়া নিয়ে মানুষের জল্পনা কল্পনার কোন শেষ নেই একের পর এক কর্মকান্ড নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে এবং ওই দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন এর ব্যাক্তিগত জীবন এবং তার দেশের বিভিন্ন অদুত নিয়মের ব্যাপারেও বিভিন্ন কৌতুল রয়েছে সকলের মধ্যে।
সব জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে প্রকাশ পেয়েছে কিম জং উনের মেয়ের ছবি।
শুক্রবার তার মেয়েকে নিয়ে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বিবিসি খবর.
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের কনিষ্ঠ কন্যা কিম চু-এ প্রথমবারের মতো মুক্তি পেয়েছে।
বিশ্ব নেতাদের মধ্যে কিম জং উন অত্যন্ত নির্ভীক জীবনযাপন করেন। তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে তেমন কেউ জানে না।
শুক্রবার, উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক কেসিএনএ প্রথমবারের মতো বাবার হাত ধরে মেয়ের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার হোক্কাইডো থেকে ২১০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাপান সাগরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি পড়ে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে এবং দক্ষিণ কোরিয়া সংশ্লিষ্টদের কঠোর পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পরিকল্পনার বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
পিয়ংইয়ং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে “ভয়ানক” সামরিক প্রতিক্রিয়ার হুমকি দেওয়ার একদিন পরে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হল।
ওয়াশিংটন ডিসির স্টিমসন সেন্টারের উত্তর কোরিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল মাদান বলেন, “কিমের মেয়েকে জনসমক্ষে নিয়ে আসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।”
ছবিতে কিমের মেয়ের বয়স ১২ -১৩ বছর বলে মনে হচ্ছে। তার মানে আরও চার-পাঁচ বছর পর সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে বা সামরিক বাহিনীতে যোগ দেবে।
উত্তর কোরিয়া বিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, কিম তার মেয়েকে জনসমক্ষে নিয়ে এসেছেন এটা দেখানোর জন্য যে তার পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মই দেশটির পরবর্তী শাসক হবে।
উল্লেখও, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে নানান তত্থ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিংবা গণ মাধ্যমে উঠে আসে বিভিন্ন সময় তবে তার দেশের অনেক নিয়মকানুন রয়েছে যা মানুষের কাছে কেবলই কৌতুহূল হিসেবে রয়েছে।