আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে এখন থেকেই নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সেই সাথে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে সহিংসতা ঠেকাতে ঢাকা মহানগরীর সংসদীয় আসনে পৃথক শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।এসব কর্মসূচি থেকে নেতা-কর্মীদের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি নৌকার বিজয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী আট মাস প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন।
আজকের সংবাদপত্র অনলাইন থেকে সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ ফিড অনুসরণ করুন
শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের অধীনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাতটি সংসদীয় আসনে এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের চারটি সংসদীয় আসনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি নগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচালের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এই ষড়যন্ত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি। দলটি পদযাত্রার নামে আগুন সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও মনে করেন তারা। আওয়ামী লীগকে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আনতে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে নৌকার ভোট চাইতে নির্দেশ দেন।
ঢাকা-১০ সংসদীয় আসন আওয়ামী লীগ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে সামরিক-পূর্ব শান্তি সমাবেশ করেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন আটটি নির্বাচনী আসনে জয়ের জন্য এখন থেকেই কাজ শুরু করতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। তিনি বলেন, আগামী আট মাস প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে। তাদের কাছে শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের খবর পৌঁছে দেবেন। দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ চায়। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের ক্ষমতা ভাগাভাগির স্বপ্ন পূরণ হবে না।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শান্তি সমাবেশ থেকে বিএনপিকে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া কোনো সরকারকে উৎখাত করা যায় না। ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন।
বিএনপি অনির্বাচিত সরকার এনে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায় বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলেন, দেশের গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে দলের নেতাকর্মীরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।
মিরপুর-১ গোলচত্বরে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ থেকে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দেশের মানুষ নির্বাচনে বিশ্বাস করে, দেশের মানুষ ভোট চায়, দেশের মানুষ ভোট দেবে। আগামী নির্বাচনে ভোট দিন।” আগামী নির্বাচনে কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করে গণতন্ত্র রক্ষা করব।
বিএনপির মিছিল থেকে হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ, কামরাঙ্গীরচর এলাকায় এবং নিউমার্কেট এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান। তিনি দাবি করেন, বিএনপি সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে জনগণ বসে থাকবে না, দাঁত ভাঙা জবাব দেবে।
তাপস বলেন, আমরা চাইলে ঢাকা মহানগরীর কোনো এলাকায় আপনাদের (বিএনপি) নামার সুযোগ ছিল না। তারপরও গণতন্ত্রের স্বার্থে, সংবিধানের স্বার্থে আমরা কোনো বাধা দেব না।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির নানা সভা সমাবেশে সহিংসতা হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আর সেই কারণেই তারা তা প্রতিরোধে ঢাকা মহানগরের সংসদীয় আসনগুলোতে পৃথক শান্তি সমাবেশ করেছে।