সম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে তিনি শুধু তার মুক্তি নিয়েই নয় বরং তিনি রাজনীতি করতে পারবেন কিনা তা নিয়েও কথা বলেছেন। এই প্রসঙ্গ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক আব্দুল হাই সঞ্জু নিচে সেটি তুলে ধরা হল-
বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন না—তাঁর মুক্তির সময় এমন কোনো শর্ত ছিল না
অর্থাৎ খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে সভা-সমাবেশ করলে শেখ হাসিনা বলবেন, তিনি এখন সুস্থ এবং তাঁকে কারাগারে ফিরে আসতে হবে।
সুতরাং মুক্তির সাথে লিখিত শর্ত না থাকলেও পরোক্ষভাবে ঘটনা এমনই ঘটবে। খালেদা জিয়া মাঠে সক্রিয় হতে পারলে মোমেনটাম সৃষ্টি করতে পারতো বিএনপি।
বিদেশিরা এখন অনেক কিছুই করছেন, যা বিএনপি’র চলমান আন্দোলনের জন্য ইতিবাচক।
তবে বিদেশিরা আরও অনেক আগে এবং আরও অনেক বেশী সক্রিয় হতো, যদি তারেক রহমান তাঁর সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপি’র আয়োজনে তারেক রহমানকে বছরের নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনে দেখা যায় পূর্ব লন্ডনের রয়েল রিজেন্সি মিলনায়তনে সমাবেশে বক্তৃতা দিতে। এসব সমাবেশে যোগ দেন বিএনপির প্রবাসী কর্মী-সমর্থকেরা। এসব লোক ইতোমধ্যে বিএনপি এবং তারেক রহমানের সমর্থক এভং ভক্ত।
এদের পেছনে সময় ব্যয় না করে ব্রিটিশ এমপি, মন্ত্রী, ব্যবসায়ী এবং নানা ধরনের ইন্টারেস্ট গ্রুপের সাথে যদি তারেক রহমান নিয়মিত যোগাযোগ করতেন, তিনি আরও বেশী এবং আরও আগে লাভবান হতে পারতেন। নিজের ঘনিষ্ঠ লোকদের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে বিদেশিদের সাথে যোগাযোগ করে যতটুকু ফল আসে, নিজে ব্যাক্তিগতভাবে ফেইস-টু-ফেইস যোগাযোগের মাধ্যমে আরও অনেক বেশী ইতিবাচক ফল আসে। এটা একটা সাধারণ জ্ঞান। নিয়মিত ফেইস-টু-ফেইস সাক্ষাতে মানুষের মধ্যে আস্থা এবং বিশ্বাস সৃষ্টি হয়।
এই কাজ তারেক রহমান কেন করেন না, আমি বুঝিনা।
আরও একটা সুযোগ তারেক রহমান গ্রহণ করেন না। সেটি হলো ব্রিটেনের বাংলা এবং মুল ধারার গণমাধ্যমে নিজের বক্তব্য দেয়ার সুযোগ।
পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একবারও আসেননি তারেক রহমান। কর্তৃপক্ষ হয়তো তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আনবেনা, কিন্তু দিনের বেলায় হলেও একবার তিনি আসতে পারেন। শহীদ মিনারে এলে হয়তো স্থানীয় আওয়ামীলীগের পাণ্ডারা তাঁকে লক্ষ্য করে স্লোগান দেবে। কিন্তু হামলা হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবেনা। পুলিসকে আগে থেকে জানালে সেখানে পুলিসও থাকবে।
রাজনীতি করতে হলে প্রতিকুল পরিবেশের মুখোমুখি হতে হয়। নিজেকে কমফোর্টেবল জোনে নিরাপদ রেখে রাজনীতি হয়না।