এবার সিলেটে জ্বালানি তেলের সংকটের কারনে প্রেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।জানা গিয়েছে সিলেটে জ্বালানি সংকটের কারণে রোববার থেকে তেল বিক্রি বন্ধ করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্ট ও পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটি।
শনিবার সিলেটের চন্ডিপুলে কুশিয়ারা কনভেনশন হলে কমিটির জরুরি সভা শেষে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী ও নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ এ ঘোষণা দেন।
বৈঠকে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে বারবার বৈঠক করেও এ ধরনের পরিস্থিতির সমাধান হচ্ছে না। এমতাবস্থায় সিলেটের তেল ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ছাড়া উপায় নেই।
বৈঠকে সিলেটের ব্যবসায়ীরা আগামী বুধবার থেকে ডিপো থেকে তেল নেওয়া বন্ধ এবং রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্ট ও পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।
সিলেটের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে রেলের ওয়াগনের মাধ্যমে সিলেটে তেল আসে। বিভিন্ন কারণে রেলওয়ের ওয়াগন চলাচল অনিয়মিত হয়ে ও কিছু দিন বন্ধ থাকায় অধিকাংশ পাম্পে জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া সিলেটের গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত কনডেনসেট ইতিপূর্বে সিলেটের বিভিন্ন প্লান্টে জ্বালানি তেলে রূপান্তরিত হতো।
সরকারি মালিকানাধীন এসব প্ল্যান্ট দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এখন চট্টগ্রামে একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্ল্যান্ট কনডেনসেটকে জ্বালানি তেলে রূপান্তরিত করে। এখানে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, ডিপোগুলোর কর্মকর্তারা তৎপর থাকলে এ সংকট অনেকটাই কমে যেত।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্ট ও পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেটে আবারও জ্বালানি তেলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বারবার তেল সরবরাহে ব্যর্থ হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তারা বিভিন্ন অজুহাতে তেল সরবরাহ বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের লোকসানে পড়তে বাধ্য করছে। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকেই সিলেটে জ্বালানি তেলের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছিল এবং সেই সংকট এখনো নিরসন হয়নি যার ফলে বারবার তেল সরবরাহে ব্যর্থ হচ্ছে কর্তৃপক্ষ তাই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।