সারা দেশের আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে গাইবান্ধার নির্বাচন। সিসিটিভি ক্যামেরায় ওই নির্বাচনে অনিয়ম দেখা যায় এবং পরবর্তীতে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন এবং এর পরই শুরু হয় নানা আলোচনা। এবং এই নির্বাচন নিয়ে অনেকে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন যেসব কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে সেসব কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশের জন্য সিইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে সাঘাটা থানা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রয়োজনে যেসব কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে সেসব কেন্দ্রে আবারও ভোট নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
রিপন বলেন, ‘বিরোধী পক্ষ নৌকার গেঞ্জি পড়ে কেন্দ্রগুলোতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। কোন এক রহস্যজনক কারনেই সিইসি এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।’
এর আগে নির্বাচন পেছানোর প্রতিবাদে সাঘাটা উপজেলা পরিষদ কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। এ সময় নেতাকর্মীরা সিইসির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
এর আগে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দেশে প্রথমবারের মতো এ সংসদীয় আসনের নির্বাচনে সব কেন্দ্রে একযোগে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ঢাকা থেকে ১ হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন মনিটরিং করছে ইসি। সিসিটিভি ক্যামেরায় অনিয়ম দেখে সাড়ে ১১টার মধ্যে ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টিতে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
এদিকে দুপুরে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। পরে বিকেলে গাইবান্ধা ৫ আসনের নির্বাচন বন্ধের ঘোষণা দেন সিইসি।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য হয়।এবং তার এই আসনে নির্বাচন নিয়েই এখন আলোচনা তৈরী হয়েছে সারাদেশে। তবে যেসব কেন্দ্রে ভোট সুস্থ হয়েছে সেখানের ফলাফল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে অনেকে