ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকে দেখা গিয়েছে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গিয়েছে এবং বিভিন্ন দেশে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে যার কারনে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধন মানুষকে তবে এবার জানা যাচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমতে যাচ্ছে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেড়েছে। তবে আগামী বছর দাম কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়া গমসহ আরও অনেক পণ্যের দামও কমবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ অক্টোবর), সংস্থাটি তার সর্বশেষ বাজার মূল্যায়নে বলেছে যে ইউক্রেনে রাশিয়ান সামরিক অভিযান জ্বালানি বাজারে অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে। ফলে এ বছর এখন পর্যন্ত জ্বালানির দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসে জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা বিপরীত হয়ে যাবে। ফলে আগামী বছর (২০২৩ সালে) জ্বালানি তেলের দাম ১১ শতাংশ কমবে। এর পরে, মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং চীনের করোনা বিধিনিষেধের কারণে জ্বালানির দাম আরও কমতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের গড় দাম ছিল ৯৬.৬২ ডলার। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে দাম ৯২ ডলারে নামতে পারে। আগামী বছর (২০২৪) তা আরও কমে ৮০ ডলারে নামবে। তবে দাম কমলেও তা বিগত পাঁচ বছরের গড় থেকে ৭৫ শতাংশ বেশি থাকবে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছর কৃষিপণ্যের দামও ৫ শতাংশ কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি বছরের ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে গমের দাম প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। তবে এক বছর আগের তুলনায় তা ২৪ শতাংশ বেশি। এছাড়াও, প্রতিবেদনে আশা করা হয়েছে যে ২০২৩ সালে বিশ্বে গমের ভাল ফলন হবে। এতে চালের বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি পুনরুদ্ধারের কারণে এটি ঘটবে। বৈশ্বিক মন্দার ফলে ২০২৩ সালে ধাতুর দামও ১৫ শতাংশ কমে যাবে।
উল্লেখ্য, আন্তজার্তিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়াতে বেশ বিপাকে পড়েছে অনেক দেশ যার ফলে লাগাতার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে মানুষ।