এবার ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি পাওয়ারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত বহুল আলোচিত বিদ্যুৎ চুক্তির শর্তাবলী নিয়ে নানা আলোচনা এবং মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক শামসুল আলম। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
গৌতম আদানি চুক্তি করে বাংলাদেশের সাথে ভয়াবহ বাটপারি ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে:
মোদির সুপারিশে আদানিকে বিদ্যুতের কাজ দেয় শেখ হাসিনা। গোপন চুক্তি করে! চুক্তি অনুযায়ী আগামী মাসুকের নাকি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে আজানি। আর এই বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য ভারতের গড্ডায় একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছে। বলা হয় যে আদানীর ভারতে কয়লা খনি আছে, সেই কয়লা খনি থেকে সস্তায় কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। কিন্তু পরে আদানি বাংলাদেশকে বলে, কয়লা আসবে ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে জাহাজে করে, জাহাজ থেকে নামানোর পরে ৭০০ কিলোমিটার সড়ক পথে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে যাবে।
মূলত এই কয়লা আসবে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসবে। তবে এই কয়লা নিম্নমানের এবং এবং সালফার সমৃদ্ধ, যা পরিবেশের জন্য বিপদজনক।এই নিম্নমানের কয়লার দাম টন প্রতি ২০০ ডলার, অথচ আদানি বাংলাদেশকে দেখাচ্ছে ৪০০ ডলার করে। আগে যেখানে ছয় টাকা ইউনিট হিসেবে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা ছিল, এখন সেটা কিনতে হবে ১৬-১৭ টাকায়। এই বাড়তি টাকা পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশের জনগনকে।
এই গোপন চুক্তি মোতাবেক আদানি ২৫ বছরে নিয়ে যাবে ৬২ বিলিয়ান ডলার, আর যদি তাদের এক ছটাক বিদ্যুৎ ব্যবহার না করা হয়, তারপরেও তারা ক্যাপাসিটি ট্যাক্স বাবদ বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাবে ৮ বিলিয়ন ডলার। বাটপারি শুধু বাংলাদেশের সাথেই নয়, ভারতের মানুষের সাথে ও বাটপারি করেছে আদানি: সেখানে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে মানুষের জমি বাগান ও ফসলের ক্ষেতের উপর দিয়ে সেই বিদ্যুতের হাই ভোল্টেজ লাইন নিয়ে গেছে।