নিষিদ্ধ দ্রব্য দেশে যুব সময় ধ্বংস করে দেওয়ার একটি অন্যতম উপাদান। বিভিন্নভাবে দেশে এই ধরণের নিষিদ্ধ দ্রব্য ঢুকছে প্রতিনিয়ত এবং যুব সমাজ বিপথে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে সৈয়দ নওশাদ নামের এই যুবককে আটক করার পর কেটামিন দিয়ে তৈরি এই বিপজ্জনক নিষিদ্ধ দ্রব্য এর তথ্য জানতে পারেন নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।ঢাকার গুলশান-বনানীসহ অভিজাত এলাকায় পার্টিতে আসা টার্গেটেড তরুণীরা অজান্তেই এই নিষিদ্ধ দ্রব্য গ্রহণ করে স’ম্ভ্র’মহা’নী হয়।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন- নওশাদের বাবা ধনী ব্যবসায়ী। হাইস্কুলে পড়ার সময় থেকেই সে নিষিদ্ধ দ্রব্যে জড়িয়ে পড়ে। নিরুপায় বাবা নওশাদকে কয়েক মাস নিরাময় কেন্দ্রে রেখে উচ্চ শিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া পাঠান। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর নওশাদ কেটামিনকে নিষিদ্ধ দ্রব্য রূপান্তরিত করার কৌশল শিখে নেন। দেশে ফিরে প্রায় এক শতাব্দী ধরে নিজ বাড়িতে এই নিষিদ্ধ দ্রব্য তৈরি ও বিক্রি করে আসছিলেন তিনি। কেটামিন বিক্রি হয় প্রতি গ্রাম ২০-২৫ হাজার টাকায়।
নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ঢাকা উত্তর) সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, দেশে এটিই প্রথম নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যবহার। দলটি পার্টিতে আসা তরুণীদের জুস বা কোকের সঙ্গে মিশিয়ে হেয় করে। ওই তরুণীরা কিছুই বুঝতে পারে না। কারণ এই ওষুধের কোনো আকৃতি, গন্ধ বা রঙ নেই।
নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান রাসায়নিক কর্মকর্তা দুলাল কৃষ্ণ সাহা জানান, দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের নিষিদ্ধ দ্রব্য ধরা পড়লেও এর পেছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
উল্লেখ্য, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন নিষিদ্ধ দ্রব্য ঢুকছে দেশে তারই ধারাবাহিকতায় কেটামিন দিয়ে বানানো এক নিষিদ্ধ দ্রব্যের সন্ধান পাওয়া গেল রাজধানীতে,মূলত এই কেটামিন অস্ত্রোপচারের সময় ব্যবহৃত চেতনানাশক ইনজেকশন, একটি বিপজ্জনক ওষুধ।